Kapil Dev

Kapil: ভারত খেলাধুলায় পিছিয়ে পড়ছে, নিজেদেরই দায়ী করছেন কপিল! কেন

পড়াশোনার মতোই খেলাধুলাকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছেন কপিল। অভিভাবকদের ইচ্ছে ছোটদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ হলে বহু প্রতিভার খোঁজ মিলবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২২ ১৬:৫৩
Share:

কপিল দেব। ফাইল ছবি।

ভারত কেন খেলাধুলায় অন্য দেশগুলির তুলনায় এত পিছিয়ে? কপিল দেব অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন তাঁর মতো অভিভাবকদের মানসিকতাকে। একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ’৮৩-র ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলেছেন, দেশে আমরা অভিভাবকরাই সন্তানদের খেলাধুলা করতে পাঠাতে তেমন আগ্রহী নই। ফলে বহু প্রতিভা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায় না।

কপিল বলেছেন, ‘‘এখন অনেক অভিভাবকই খেলাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। সন্তানদের বিভিন্ন খেলা শেখাচ্ছেন। গত কয়েক বছরে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আরও পরিবর্তন দরকার।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমি মনে করি না সমস্যাটা ছোটদের। এটা অভিভাবকদের সমস্যা। আমাদের দেশে প্রচুর চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার তৈরি হয়। কারণ অভিভাবকরা সন্তানদের এই সব ক্ষেত্রেই সফল দেখতে চাই। সন্তানদের সফল ক্রীড়াবিদ হিসেবে দেখতে চাইলে আমরা কিন্তু অনেক চ্যাম্পিয়ন পাব।’’

Advertisement

নিউইয়র্কের ভারতীয় দূতাবাসের আমন্ত্রণে আমেরিকায় গিয়েছেন কপিল। দূতাবাসের ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ অনুষ্ঠানের বিশেয সম্মানীয় অতিথি তিনি। উদাহরণ দিয়ে কপিল বলেছেন, ‘‘আমার মেয়ে যদি দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় কোনও খেলায় জুনিয়র স্তরে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেত এবং কোনও একটা বেছে নিতে হত, তা হলে আমিও হয়তো বলতাম পড়াশোনা করতে।’’ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া বা ইউরোপের দেশগুলির থেকে ভারতের পিছিয়ে থাকার এটাই সব থেকে বড় কারণ বলে মনে করেন তিনি।

কপিল বলেছেন, ‘‘আমেরিকা, ইউরোপ বা অস্ট্রেলিয়ার অভিভাবকরা কিন্তু এমন হলে সন্তানদের বলবেন, এই বছরটা পড়াশোনা বাদ দাও। পরের বছর পরীক্ষা দেবে। এ বছরে দেশের প্রতিনিধিত্ব কর। কারণ ওদের কাছে সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মানের। আমাদের দেশে এমন চিন্তা-ভাবনা এখনও দেখা যায় না। আমরা এ ভাবে ভাবতে পারলেই পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হবে। আমাদের সমাজে ছোটদের ইচ্ছার থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ অভিভাবকদের ইচ্ছা। ধীরে হলেও বদলাচ্ছে মানসিকতা।’’

Advertisement

নিজের ছেলেবেলার কথা বলতে গিয়ে কপিল জানিয়েছেন, খেলার সরঞ্জাম স্কুলের ব্যাগে লুকিয়ে রাখতেন। যাতে স্কুলের পর খেলতে যেতে পারেন। তাঁর মতে, ভারত তরুণদের দেশ। চেষ্টা করলে এমন অনেক কিছুই অর্জন করা সম্ভব যা অন্য দেশের পক্ষে কঠিন। দেশের প্রতিনিধিত্ব করার গর্ব উপলব্ধি করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন প্রাক্তন অলরাউন্ডার।

ভারতের টমাস কাপ জয়কে অনেকেই তুলনা করছেন ১৯৮৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের সঙ্গে। সে বারের ভারতীয় দলের অধিনায়ক কপিলও উচ্ছ্বসিত ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের সাফল্যে। তিনি মনে করছেন টমাস কাপের মতো সাফল্য বদলে দেবে ভারতীয় খেলাধুলার ভবিষ্যৎ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন