আমনজ্যোৎ কৌর। ছবি: বিসিসিআই।
এক দিনের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশা মতো খেলতে পারলেন না ভারতীয় মহিলা দলের ব্যাটারেরা। বৃষ্টি, মেঘলা আবহাওয়ার মধ্যে হরমনপ্রীত কৌরদের সমস্যায় ফেললেন শ্রীলঙ্কার স্পিনারেরা। ইনিংসের ২৬তম ওভারে ইনোকা রণবীরার বলে পর পর আউট হয়ে যান হার হারলিন দেওল, জেমাইমা রদ্রিগেজ এবং হরমনপ্রীত। তবু শেষ পর্যন্ত ভারত ৮ উইকেটে ২৬৯ রান (৪৭ ওভারে) তুলল শ্রীলঙ্কার খারাপ ফিল্ডিংয়ের সুবাদে। তবে ভারতের ইনিংস শুরু হওয়ার পর বার বার বৃষ্টি হওয়ায় শ্রীলঙ্কাকে ৪৭ ওভারে করতে হবে ২৭১ রান।
টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চামারি আটাপাত্তু। মেঘলা আবহাওয়ায় তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন ছিল না। তবে গুয়াহাটির ২২ গজে প্রথম থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন ভারতীয় ব্যাটারেরা। ওপেনার স্মৃতি মন্ধানা (৮) খারাপ শট খেলে আউট হয়ে যান চতুর্থ ওভারেই। দ্বিতীয় উইকেটে অন্য ওপেনার প্রীতিকা রাওয়াল এবং তিন নম্বরে নামা হারলিন পরিস্থিতি সামাল দেন। তাঁদের জুটিতে ওঠে ৬৭ রান। প্রীতিকা করেন ৫৯ বলে ৩৭ রান। এর পর হারলিনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন হরমনপ্রীত। তৃতীয় উইকেটে তাঁরা তোলেন ৩৯ রান। তবে রান তোলার গতি বাড়াতে পারছিলেন না তাঁরা। আগেই দু’দফা বৃষ্টির জন্য ম্যাচের ওভার সংখ্যা কমে ৪৮ হয়ে যায়। ২৩তম ওভার থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন হারলিন এবং হরমনপ্রীত। কারণ ২০ ওভারের পর ভারতের রান ছিল ৮৪। তবে তাঁদের সেই প্রচেষ্টা কার্যকর হয়নি। ২৬তম ওভারে রণবীরা ভারতের তিন ব্যাটারকে আউট করে ভারতকে আবার চাপে ফেলেন দেন। হারলিন করেন ৬৪ বলে ৪৮। হরমনপ্রীতের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ বলে ২১ রান। ব্যর্থ জেমাইমা (শূন্য)। রান পেলেন না রিচা ঘোষও (২)। ফলে ২ উইকেটে ১২০ থেকে ১২ বলের ব্যবধানে ৬ উইকেটে ১২৪ হয়ে যায় ভারত।
তার পরও ভারত ভাল জায়গায় পৌঁছে দিল দুই অলরাউন্ডারের দীপ্তি শর্মা এবং আমনজ্যোৎ কৌরের দায়িত্বশীল জুটি। সপ্তম উইকেটের জুটিতে ১০৩ রান করেন তাঁরা। তবে এই সময় চারটি ক্যাচ ফেলেন শ্রীলঙ্কার ফিল্ডারেরা। তাতে খানিকটা সুবিধা হয়ে যায় ভারতীয় ব্যাটারদের। শেষ পর্যন্ত আমনজ্যোৎ করেন ৫৬ বলে ৫৭। ৫টি চার ১টি ছয় মারেন। এক দিনের আন্তর্জাতিকে প্রথম অর্ধশতরান করলেন ২৫ বছরের অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত দীপ্তি করেন ৫৩ বলে ৫৩। তাঁর সঙ্গে শেষ পর্যন্ত ছিলেন স্নেহ রানা। তিনি ১৫ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২টি করে চার এবং ছক্কা মারেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার সফলতম বোলার রণবীরা ৪৬ রানে ৪ উইকেট নেন। উদেশিকা প্রবধানী ৫৫ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন। ২৪ রানে ১ উইকেট আটাপাত্তুর। ৪২ রানে ১ উইকেট অচিনি কুলসূর্যের।