আকাশদীপ। —ফাইল চিত্র।
নিজের প্রথম ইংল্যান্ড সফরেই নজর কেড়েছেন আকাশদীপ। তিন ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি চেতন শর্মার পর দ্বিতীয় ভারতীয় বোলার হিসাবে ইংল্যান্ডে এক টেস্টে ১০ উইকেট নেওয়ার নজিরও গড়েছেন তিনি। সেই আকাশদীপ জানিয়েছেন, তাঁর এই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও বিরাট কোহলির পরামর্শ।
ধোনি ও কোহলি দু’জনকেই ‘দাদা’ মনে করেন আকাশদীপ। তাই তাঁরা যা বলেছেন, অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন বাংলার পেসার। ‘আজ তক’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আকাশদীপ বলেন, “বিরাট ভাই সব সময় আমাকে বলেছে, কোনও সন্দেহ থাকলে অনুশীলন বাড়িয়ে দিতে হবে। তা হলে আর নিজেকে নিয়ে কোনও প্রশ্ন তৈরি হবে না। ধোনি ভাইও সব সময় অনুশীলনের কথা বলেছে। ও বলেছে, অনুশীলন বেশি করলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। ক্রিকেট আত্মবিশ্বাসের খেলা। যার আত্মবিশ্বাস বেশি, তার সফল হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। ওরা আমার কাছে দাদার মতো। ওদের পরামর্শ মেনে চলেছি।”
ইংল্যান্ডে সফল হওয়ার জন্য আকাশদীপও অনুশীলনের উপরেই ভরসা রেখেছেন। নেটে সময় দিয়েছেন। তিনি জানতেন, বেশি সুযোগ পাবেন না। তাই নিজেকে আরও ভাল ভাবে তৈরি করেছিলেন। এজবাস্টনে প্রথম বার নেমে তাঁর ১০ উইকেট তারই প্রমাণ। আকাশকে দেখে মনে হয়নি, ইংল্যান্ডে প্রথম ম্যাচ খেলছেন। নিজের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রেখেছেন তিনি।
পিছিয়ে থেকেও ৫ টেস্টের সিরিজ় ২-২ ড্র করেছে ভারত। আকাশদীপ যে তিনটে টেস্ট খেলেছেন তার মধ্যে দুটো জিতেছে ভারত। ওভালে শেষ টেস্টে জয় সহজ ছিল না বলেই মনে করেন বাংলার পেসার। সেটাই তাঁরা করে দেখিয়েছেন। আকাশদীপ বলেন, “ওটা আমাদের কাছে ফাইনাল ছিল। আমরা ১-২ পিছিয়ে ছিলাম। তাই জিততেই হত। কিন্তু শেষ দিকে উইকেট পাটা হয়ে গিয়েছিল। বিশেষ সুবিধা পাচ্ছিলাম না। ভাবছিলাম হেরে যাব। হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে গেল। দর্শকদের সমর্থন আমাদের আরও তাতিয়ে দিল।”
পঞ্চম দিন নতুন বল নেওয়ার সুযোগ থাকলেও তা নেয়নি ভারত। পুরনো বলেই ইংল্যান্ডের বাকি ৪ উইকেট ফেলে দিয়ে ৬ রানে ম্যাচ জেতে ভারত। সেই অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন আকাশদীপ। তিনি বলেন, “সাজঘরেই আমরা ঠিক করেছিলাম বল সুইং করলে নতুন বল নেব না। কারণ, নতুন বল নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা হয়। সেই সময় হাতে রান বেশি ছিল না। ফলে রানও আটকাতে হত। আমাদের পরিকল্পনা ছিল দ্রুত উইকেট তুলতে হবে। সেটা না হলে হয়তো নতুন বল নিতাম। কিন্তু সিরাজ ভাই তার আগেই ওদের অল আউট করে দিল।”