Ravi Shastri

Jasprit Bumrah: শিখেছি অনেক, শাস্ত্রীয় বচনকে কুর্নিশ বুমরাদের  

কোহলীদের মতো গণমাধ্যমে বিদায়ী কোচেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন  বুমরাও।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২১ ০৮:৩৬
Share:

মোক্ষম: কোচ শাস্ত্রীর সেরা চাল বুমরাকে টেস্টে নিয়ে আসা।

ভারতীয় দলের সঙ্গে দীর্ঘ সাত বছরের বন্ধন শেষ করলেন রবি শাস্ত্রী। সব চেয়ে বেশি করে তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বিরাট কোহালির। হেড কোচের বিদায়বেলায় আবেগপূর্ণ বার্তা দিলেন কোহালি। সেই সঙ্গে বিদায়ী বার্তা লিখলেন ফাস্ট বোলার যশপ্রীত বুমরাও।

Advertisement

গণমাধ্যমে তিনটি ছবি পোস্ট করেছেন কোহালি। যেখানে তাঁকে তিন বিদায়ী কোচ শাস্ত্রী, বোলিং কোচ বি অরুণ এবং ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরের (ফিল্ডিং কোচ) সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। ছবির সঙ্গে সঙ্গে ভারত-অধিনায়ক লিখেছেন, ‘‘আপনাদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুখস্মৃতি ভুলতে পারব না। ধন্যবাদ জানাচ্ছি দল হিসেবে আমাদের দারুণ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ভারতীয় দলে আপনাদের অবদান বিশাল। সকলে চিরকাল তা মনে রাখবে। আপনাদের জীবনের আগামী দিনগুলো আরও সুন্দর হয়ে উঠুক।’’ গণমাধ্যমে কোহালির এই লেখা্ দেখে অনেকেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এমনকি, পাকিস্তানের বহু ক্রিকেটপ্রেমীও তাঁর সৌজন্য দেখে মুগ্ধ হয়ে মন্তব্য
করতে থাকেন!

কোহালির মতো গণমাধ্যমে বিদায়ী কোচেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বুমরাও। তিনিও তিন কোচের সঙ্গে নিজের ছবি তুলে দিয়ে লিখেছেন, “সহযোগিতা, প্রেরণা এবং উৎসাহ দেওয়ার জন্য, পর্দার আড়ালে থেকে সব সময় পথ দেখানো, সঠিক পথে চালনা করার জন্য, অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য এবং প্রতিনিয়ত শেখানোর জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। এই অমূল্য শিক্ষা এবং অবদানের জন্য কৃতজ্ঞ থাকব। আপনাদের ভবিষ্যতের জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা।”

Advertisement

বুমরাকে টেস্ট ক্রিকেটে নিয়ে আসাটা শাস্ত্রী এবং বোলিং কোচ অরুণের মেয়াদের সেরা চাল হিসেবে থেকে যাবে। তার আগে পর্যন্ত বুমরাকে শুধু সাদা বলের বোলার হিসেবেই ধরা হত। কিন্ত শাস্ত্রী এবং অরুণ বুঝতে পারেন, ভারতীয় দলকে যদি বিদেশের মাঠে টেস্ট ক্রিকেটে ভাল ফল করতে হয়, তা হলে আগুনে ফাস্ট বোলার দরকার। সেই লক্ষ্যে বুমরাকে তাঁরা বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে পাঠিয়ে তৈরি করেন বিশেষ ভাবে। টেস্টে বুমরার মতো জোরে বোলারকে টানা বল করতে হলে শক্তি বাড়াতে হত। সেই কারণে তাঁর ‘স্ট্রেংথ কন্ডিশনিং’ ট্রেনিং চলে জাতীয় অ্যাকাডেমিতে। শাস্ত্রী-অরুণ ঠিক করেন, একেবারে দক্ষিণ আফ্রিকায় আত্মপ্রকাশ ঘটানো হবে বুমরা পেস-অস্ত্রের। তার আগে দেশের মাঠে সিরিজ থাকলেও সেখানে তাঁকে নামাননি তাঁরা। সোজা কেপ টাউনে প্রথম টেস্টে তাঁকে ময়দানে ছাড়া হয় এবং তার পর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বুমরা টেস্টে ভারতীয় দলের এক নম্বর পেসার হয়ে ওঠেন এবং আমূল বদলে যায় ভারতীয় বোলিংয়ের চেহারাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন