India vs England 2025

রুটের ১৫০, তৃতীয় দিনের শেষে ১৮৬ রানে এগিয়ে ইংল্যান্ড, বাকি দু’দিন, ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছে ভারত

ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে হারলেই সিরিজ়‌ হারাবে ভারত। তৃতীয় দিনের শেষে যা অবস্থা, তাতে এই টেস্টেও ভারতের জেতা বা ড্র করার বিশেষ সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ড তুলেছে ৫৪৪/৭। এগিয়ে রয়েছে ১৮৬ রানে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৫ ২৩:০২
Share:

জাডেজা, শুভমনদের সামনে এখন কঠিন লড়াই। ছবি: পিটিআই।

ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে হারলেই সিরিজ়‌ হারাবে ভারত। তৃতীয় দিনের শেষে ম্যাচের যা অবস্থা, তাতে এই টেস্টেও ভারতের জেতা বা ড্র করার বিশেষ সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। ক্রিকেট মহান অনিশ্চয়তার খেলা হলেও চতুর্থ টেস্টে ইংল্যান্ড এখন যে জায়গায় সেখান থেকে হারের সম্ভাবনা খুবই কম। দ্বিতীয় ইনিংসে অসাধারণ ব্যাটিং না করলে এই টেস্ট ভারতের পক্ষে বাঁচানো কার্যত অসম্ভব। তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ড তুলেছে ৫৪৪/৭। এগিয়ে রয়েছে ১৮৬ রানে। এখনও বাকি টেস্টের দু’দিন। আবহাওয়া বিরূপ না হলে ফলাফল পেতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

Advertisement

তৃতীয় দিন শুরু হওয়ার পর ভারতের লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সম্ভব রুট এবং অলি পোপকে ফেরানো। কিন্তু মানুষ ভাবে এক, হয় আর এক। এ দিন ম্যাঞ্চেস্টারে ভারতীয় বোলিংয়ে এমন কোনও ঝাঁজ ছিল না যা ইংল্যান্ডের এই দুই ব্যাটারকে বিন্দুমাত্র বিব্রত করতে পারবে। কোনও সুযোগই দিচ্ছিলেন না তাঁরা। রোদভরা আকাশ এবং পাটা পিচ হওয়ায় কোনও সুবিধাই পাচ্ছিলেন না জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজেরা। সেই সুযোগে অনায়াসে রান করছিলেন রুট এবং পোপ।

হয়তো আনকোরা ভেবে অংশুল কম্বোজকে এই টেস্টে নামিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মান যে আলাদা, সেটা এত দিনে করুণ নায়ারকে দেখে বুঝে যাওয়া উচিত ছিল। যে কম্বোজের বলের গতি ১৩০ কিলোমিটারের বেশি ওঠে না, তিনি যে এই পিচে সাফল্য পাবেন না এটা প্রত্যাশিত। কম্বোজের লাইন-লেংথ নিয়ে সমস্যা নেই। প্রতিটি বল স্টাম্প অথবা ব্যাটারের শরীর লক্ষ্য করে রেখেছেন। কিন্তু বলের গতি এতটাই কম যে রুটদের খেলতে সমস্যা হচ্ছিল না। তবু কম্বোজ একটি উইকেট পেতে পারতেন। সেটাও নষ্ট হল ধ্রুব জুরেলের জন্য। কম্বোজের বলের গতি কম বলে স্টাম্পের সামনে এসে কিপিং করছিলেন। পোপের গ্লাভসে লাগার পর সেই বল জুরেল ধরতেই পারলেন না।

Advertisement

পন্থ না থাকার খেসারত তৃতীয় দিনেও দিতে হয়েছে ভারতকে। পন্থ শুধু ভাল ব্যাটারই নন, উইকেটের পিছনেও তাঁর দক্ষতা প্রশ্নাতীত। সেখানে জুরেল পরিবর্ত হিসাবে খেলেও কিছু করতে পারছেন না। এ দিন দু’টি স্টাম্প করেছেন বটে। তবে সেগুলি মিস্ করলে ক্ষমাহীন অপরাধ হত। বল গলিয়েছেন বেশ কয়েক বার।

ভারত বনাম ইংল্যান্ড তৃতীয় দিনের স্কোরকার্ড। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ভারতের আরও সমস্যা হয়েছে বুমরাহের চোটে। প্রথম সেশনে মাঠ ছেড়ে উঠে যান তিনি। পরে যখন নামেন তখন বাউন্ডারির ধারে ফিল্ড করতে গিয়ে দেখা যায় খোঁড়াচ্ছেন। ধারাভাষ্যকারেরা জানিয়ে দেন, চা বিরতির আগে বল করতে পারবেন না বুমরাহ। চা বিরতির পরে বল করতে এলেন ঠিকই। কিন্তু গতি এতটাই কমে গেল যে ইংরেজদের আরও সুবিধা হয়ে গেল তাঁর বল খেলতে। বুমরাহ বল করছেন ঘণ্টায় ১২৭ কিলোমিটার গতিতে! এর চেয়ে বড় সুবিধা আর কী হতে পারে।

শেষ মেশ ইংরেজদের ধাক্কা দেন ওয়াশিংটন। ৬৮ ওভার পর তাঁকে বল করাতে এনেছিলেন শুভমন। প্রথমে পোপ, তার পর হ্যারি ব্রুককে তুললেন। এগিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হন ব্রুক। পর পর দু’টি উইকেট পড়ার পর ভারতীয় শিবিরে যে খুশি এসেছিল তা উধাও হয়ে গেল পরের এক ঘণ্টায়। রুটকে তো কোনও ভাবেই নড়ানো যাচ্ছিল না। দোসর হন বেন স্টোকস। ইংরেজ অধিনায়ক বল হাতে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটেও কিছু করে দেখানোর জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন। রুটের সঙ্গে ধ্রুপদী ক্রিকেট খেললেন স্টোকস। বাজ়বলের রাস্তায় হাঁটেননি। বরং ধীরে খেলে লম্বা ইনিংস গড়ার দিকে নজর দেন।

রুট-স্টোকসের জুটিতে পাঁচশো রানের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে ইংল্যান্ড। তবে পায়ে টান ধরায় অবসৃত হয়ে সাজঘরে ফেরেন ইংরেজ অধিনায়ক। তার কিছু ক্ষণ পর ফিরে যান রুটও (১৫০)। টিকতে পারেননি জেমি স্মিথ (৯) এবং ক্রিস ওকসও (৪)। ওকস ফেরার পর আবার নামেন স্টোকস।

ইংল্যান্ড যে দু’দিন ব্যাট করেছে, দু’দিনই আকাশে বেশির ভাগ সময়ে রোদ ছিল। ভারতকে চতুর্থ দিন ব্যাট করতে নামতে হবে। শনিবার আকাশ মেঘলা থাকার কথা। অর্থাৎ প্রকৃতি আবার ভারতের বিরুদ্ধে থাকবে। এখন দেখার, ইংরেজ বোলারদের সামলে এই ম্যাচ শুভমনেরা বার করতে পারেন কি না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement