kirti azad

BCCI: নির্বাচকদের তোপ মদন লাল, কীর্তির

আজাদ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যে পদ্ধতিতে কোহলিকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:৪৫
Share:

ফুরফুরে: বিতর্ক যা চলে চলুক। দল নিয়ে হাসিখুশি বিরাট। ছবি টুইটার।

টেস্ট সিরিজ় খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় দল। কিন্তু বিরাট কোহলিকে একদিনের ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে চর্চা অব্যাহত ভারতীয় ক্রিকেটে। শনিবার যে প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের দুই সদস্য কীর্তি আজাদ এবং মদন লাল।

Advertisement

একটি নিউজ় চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কীর্তি জানান, কোহলি এখনও পর্যন্ত যতটা ক্রিকেট খেলেছেন, পাঁচ নির্বাচক মিলিয়ে তার অর্ধেক ম্যাচও খেলেননি দেশের হয়ে। তার পরেও কী ভাবে তাঁরা বিরাটকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন? ক্ষুব্ধ কীর্তি বলেছেন, “আমি জানি নির্বাচক হিসেবে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা সকলেই একটা সময় ভারতের হয়ে খেলেছেন। তবে বাস্তব হল, বিরাট এখনও পর্যন্ত যত ম্যাচ খেলে ফেলেছে, তার অর্ধেক ম্যাচও নির্বাচকরা মিলিত ভাবে খেলতে পারেননি। সেটাও তো মনে রাখা দরকার।” সেখানেই থামেননি প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক। বলেছেন, “যদি ধরেই নিই যে, বিরাটকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নির্বাচকেরা নিয়েছেন, তা হলে সেই সিদ্ধান্ত তো বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নজরেও আনার দরকার ছিল। আমি নিজে জাতীয় নির্বাচক হিসেবে কাজ করেছি। একটা সাধারণ নিয়ম রয়েছে যে, দল নির্বাচনের পরে তা পাঠানো হয় বোর্ড প্রেসিডেন্টের কাছে। তিনি সেই তালিকা দেখে সম্মতি দিয়ে সই করলেই তা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। অন্তত আমি তো সে ভাবেই জাতীয় নির্বাচক হিসেবে কাজ করেছি।”

আজাদ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যে পদ্ধতিতে কোহলিকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেছেন, “যে কোনও ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে অধিনায়কত্বের বদল হতেই পারে। কিন্তু তা করতে হলে লিখিত ভাবে অবশ্যই জানানো উচিত বোর্ড প্রেসিডেন্টকে। কিন্তু কোহলিকে যে ভাবে বিষয়টা জানানো হয়েছে, সেটা দুর্ভাগ্যজনক। আমি মনে করি, সেই আচরণই ওকে সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে। সৌরভ নিজেও এটা নিয়ে আলাদা ভাবে কথা বলতে পারত বিরাটের সঙ্গে।”

Advertisement

কীর্তি আজাদের মতো এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মদন লালও। তিনি বলেছেন, “আমার বিশ্বাস, অনেক সুন্দর ভাবে এই বিষয়টার সমাধান করা যেতে পারত। সৌরভের সঙ্গে বিরাটের কী কথাবার্তা হয়েছে, তা আমি জানতে চাই না। তবে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভের উচিত এই বিতর্কের স্পষ্ট জবাব দেওয়া।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন