অজিঙ্ক রাহানে। —ফাইল চিত্র।
চেন্নাই সুপার কিংসকে হারাতে পারলে পয়েন্ট তালিকায় উন্নতি হত কলকাতা নাইট রাইডার্সের। দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে পাঁচ নম্বরে উঠতেন অজিঙ্ক রাহানেরা। কিন্তু জিততে পারেনি কলকাতা। টান টান ম্যাচে ঘরের মাঠে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের কাছে ২ উইকেটে হেরেছে তারা। এই হারের পরেও প্ল-অফ থেকে ছিটকে যায়নি কলকাতা। এখনও সুযোগ রয়েছে রাহানেদের।
এখন পয়েন্ট তালিকায় ছয় নম্বরে রয়েছে কেকেআর। ১২ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট তাদের। নেট রানরেট ০.১৯৩। পাঁচ নম্বরে দিল্লি ক্যাপিটালস খেলেছে ১১ ম্যাচ। তাদের পয়েন্ট ১৩। চার নম্বরে রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ১২ ম্যাচ খেলে হার্দিক পাণ্ড্যদের পয়েন্ট ১৪।
কেকেআরের বাকি আর দু’টি ম্যাচ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে খেলবে তারা। দু’টিই কেকেআরের অ্যাওয়ে ম্যাচ। সেই দু’টি ম্যাচ জিতলে ১৫ পয়েন্টে শেষ করবে কেকেআর। তার পর তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি দলগুলির খেলার দিকে। তবে একটি ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করলেই প্লে-অফের অঙ্ক শেষ হয়ে যাবে।
আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় প্রথম দুই দল গুজরাত টাইটান্স ও বেঙ্গালুরুর পয়েন্ট ইতিমধ্যেই ১৬। অর্থাৎ, তাদের টপকানো কেকেআরের পক্ষে সম্ভব নয়। তিন নম্বরে থাকা পঞ্জাবের পয়েন্ট ১৫। তাদের এখনও তিন ম্যাচ বাকি। অর্থাৎ, তাদের টপকানোও মুশকিল। বাকি থাকল মুম্বই ও দিল্লি। একমাত্র এই দুই দলের থেকেই বেশি পয়েন্ট হতে পারে কলকাতার।
মুম্বইয়ের বাকি রয়েছে দুই ম্যাচ। পঞ্জাব ও দিল্লির বিরুদ্ধে। দিল্লির বাকি তিনটি ম্যাচ। পঞ্জাব, গুজরাত ও মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। মুম্বই যদি আর একটি ম্যাচ জেতে তা হলেই কেকেআরের প্লে-অফের আশা শেষ। অর্থাৎ, তাদের বাকি দুই ম্যাচ হারতে হবে। সে ক্ষেত্রে দিল্লির কাছেও হারবে মুম্বই। দিল্লিকে আবার তাদের বাকি দু’টি ম্যাচ হারতে হবে। তা হলে মুম্বইয়ের পয়েন্ট হবে ১৪। দিল্লির পয়েন্ট হবে ১৫। সে ক্ষেত্রে কেকেআরের নেট রানরেট বেশি থাকলে দিল্লিকে টপকে প্লে-অফে যাবে তারা।