সুদর্শনকে সান্ত্বনা রাহুলের। ছবি: রয়টার্স।
বৃষ্টি আসায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হল। এমনিতেই নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গিয়েছে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিট খেলানো হত। কিন্তু বৃষ্টি আসায় আর সময় বাড়ানোর রাস্তায় হাঁটলেন না আম্পায়ারেরা।
আবার পুরনো ভুল সুদর্শনের (৩০)। ভালই খেলছিলেন। স্টোকসের পা লক্ষ্য করে করা বলে আবার আউট হলেন। এ বার ক্যাচ জাক ক্রলির হাতে। ভারত ৮৬-২।
যশস্বীকে হারালেও চাপে পড়েনি ভারত। রাহুল-সুদর্শন কোনও রকম তাড়াহুড়োর রাস্তায় হাঁটছেন না। ধীরেসুস্থে খেলছেন।
ফিরল ভারতের খোঁচা দেওয়ার রোগ। কার্সের বলে খোঁচা দিয়ে চার রানে আউট যশস্বী।
ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হল ৪৬৫ রানে। শেষ উইকেটটিও নিলেন বুমরাহ। মাত্র ছ’রানের লিড নিল ভারত।
অবশেষে ওকস আউট হলেন। সেই বুমরাহকেই জুটি ভাঙতে হল। ইংল্যান্ডের স্কোর ৪৬০-৯।
উইকেট ছেড়ে মারতে গিয়ে বোল্ড কার্স। তাঁকে ফেরালেন সিরাজ। কিন্তু আগ্রাসী খেলে যা করার করে দিয়েছেন কার্স। বোলার হলেও ভারতীয়দের উপর শাসন করেছেন। ভারতের রানের দিকে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে ইংল্যান্ড। দ্রুত বাকি দুটি উইকেট ফেলতে হবে ভারতকে। ইংল্যান্ড ৪৫৩-৮। ভারতের রানের থেকে আর মাত্র ১৮ দূরে।
বল ঘোরাতে পারেন। তবু শার্দূলকে বোলিংয়ে আনা হচ্ছে। শুভমনের অধিনায়কত্ব নিয়ে শুরুতেই উঠছে প্রশ্ন। সিরাজ এবং প্রসিদ্ধ মার খেয়ে গেলেও পরিকল্পনা বদলাচ্ছেন না শুভমন। তার খেসারত দিতে হচ্ছে ভারতকে। ৩৬ বলে ৫০ রানের জুটি তৈরি করে ফেললেন ইংল্যান্ডের অষ্টম উইকেটের জুটি। সেখানে ভারত শেষ সাতটি উইকেট হারিয়েছে ৪১ রানে! ইংল্যান্ডের লোয়ার অর্ডারের ব্যাটারদের আউট করতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে ভারতীয়দের।
অবশেষে তৃতীয় বার সফল ভারত। শতরানের থেকে এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়েছিলেন ব্রুক। প্রসিদ্ধের বলে পুল করতে গিয়েছিলেন। লং লেগে শার্দূল ক্যাচ ধরলেন। আউট হয়ে বিশ্বাসই হচ্ছে না ব্রুকের। মাথা নাড়তে নাড়তে ফিরলেন সাজঘরে। ইংল্যান্ড ৩৯৮-৭।
তিনটি ফেলেছেন যশস্বী। একটি জাডেজা। এক জন বোলারের বলে সর্বাধিক ক্যাচ পড়ার নিরিখে বুমরাহ সবার উপরে।
আরও একটা ক্যাচ ফেললেন যশস্বী। এ বার ৮২ রানের মাথায় হ্যারি ব্রুকের সহজ ক্যাচ ফেললেন তিনি। ভারতের খারাপ ফিল্ডিং কাজে লাগিয়ে শতরানের পথে এগোচ্ছেন ব্রুক।
প্রসিদ্ধের বলে পুল করে ছয় মেরেছিলেন স্মিথ। বাউন্ডারির ধারে জাডেজা ক্যাচ ধরলেও ভারসাম্য রাখতে পারেননি। বল ছুড়ে দেন সুদর্শনের হাতে। দুই ক্রিকেটারের মিলিত প্রয়াসে ফিরে গেলেন স্মিথ (৪২)। ইংল্যান্ড ৩৪৯-৬।
প্রসিদ্ধের বলে স্মিথ ব্যাট চালিয়েছিলেন। মনে হয়েছিল ব্যাটে বল লেগেছে। পন্থের জোরাজুরিতে শুভমন রিভিউ নেন। বল ব্যাটে স্পর্শ করেনি। আর একটি রিভিউ নষ্ট হল ভারতের।
এই সেশনে অন্তত তিন-চারটি উইকেট চাই ভারতের। পাশাপাশি রানের গতি কমানোর দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
ভারতের মিডল এবং লোয়ার অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়লেও লড়াই করে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। ক্রিজ়ে রয়েছেন ব্রুক ৫৭ এবং স্মিথ ২৭ রানে।
ভারতের খারাপ ফিল্ডিং কমার কোনও নামগন্ধ নেই। এ বার জাডেজার বলে ব্রুকের ক্যাচ ফেলে দিলেন পন্থ। রিপ্লে-তে দেখা গেল বল তাঁর ব্যাটে লেগেছিল।
শার্দূলের ফুলটস বল মিস্ করেছিলেন স্মিথ। আম্পায়ার আউট দিতেই রিভিউ নেন স্মিথ। দেখা যায় বল লেগস্টাম্পের বাইরে যাচ্ছে। এগিয়ে এসে খেলার কারণে এ যাত্রা বেঁচে গেলেন স্মিথ।
অবশেষে উইকেট পেলেন সিরাজ। ফিরে গেলেন স্টোকস। খোঁচা দিয়েছিলেন ইংরেজ অধিনায়ক। ক্যাচ ধরলেন পন্থ। সিরাজের উল্লাসই বলে দিল এই উইকেট কতটা দরকার ছিল ভারতের।
পোপকে ফেরালেও আর উইকেট পাচ্ছে না ভারত। সবচেয়ে বেশি মার খাচ্ছেন প্রসিদ্ধ। প্রভাব ফেলতে পারছেন না সিরাজও। অনায়াসে রান করে যাচ্ছে ইংল্যান্ড।