হতাশ ভারতের ক্রিকেটারেরা। ছবি: পিটিআই।
হাসরঙ্গের প্রথম বলটিই কভারে ঠেলে দিয়ে তিন রান নিয়ে নিলেন সূর্যকুমার। প্রথম বলেই জিতে গেল ভারত। তবে চিন্তায় রাখবে বোলিং।
চতুর্থ বলে শনাকার ক্যাচ নিয়েছিলেন সঞ্জু। মনে হয়েছিল ব্যাটে বল লেগেছে। শনাকা তত ক্ষণে রান নেওয়ার জন্য দৌড়েছেন। সঞ্জুর থ্রোয়ে স্টাম্পও ভেঙে যায়। শনাকাকে ক্যাচ আউট দিয়েছিলেন মাঠের আম্পায়ার। তার বিরুদ্ধে রিভিউ নেন তিনি। সেই রিভিউয়ে দেখা যায় তিনি নট আউট। এ দিকে, রিভিউ নেওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী তখনই সেটি ‘ডেড বল’ হয়ে গিয়েছিল। ফলে সঞ্জু শনাকাকে রান আউট করলেও সেটি গ্রাহ্য হয়নি। ক্রিকেটের নিয়ম নিয়ে বিতর্ক আরও এক বার প্রকাশ্যে।
শতরান করা পাথুম নিসঙ্ককেই নামাল না তারা। দাসুন শনাকার সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিলেন কামিন্দু মেন্ডিস। দ্বিতীয় বলে ১ রান নিলেন।
সুপার ওভারের প্রথম বলেই রিঙ্কুর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট কুশল পেরেরা।
শেষ বলে তিন রান দরকার ছিল। শ্রীলঙ্কা নিল ২ রান। ফলে নিয়মরক্ষার ম্যাচে এ বার হবে সুপার ওভার। পরশু ফাইনাল। ভারতকে আরও বেশি সময় থাকতে হবে মাঠে।
উইকেট লক্ষ্য করে বল করেছিলেন হর্ষিত। অফস্টাম্পে সরে গিয়ে ফাইন লেগে খেলতে গিয়েছিলেন নিসঙ্ক। দেখেনইনি যে শর্ট ফাইন লেগে বরুণ দাঁড়িয়ে। দারুণ ক্যাচ ধরলেন ভারতের স্পিনার।
ভারতের বিরুদ্ধে শেষ কবে কোনও ব্যাটার এত দাপট দেখিয়েছেন তা মনে করা যাচ্ছে না। শুরু থেকে ভারতের বোলারদের উপর যে আগ্রাসন দেখিয়েছেন নিসঙ্ক তা এখনও বজায় রয়েছে। টি২০-তে প্রথম বার শতরান করলেন নিসঙ্ক। অর্শদীপকে ছয় মেরে হেলমেট খুলেই কানে হাত দিয়ে এবং বিশেষ ইশারা করে বুঝিয়ে দিলেন, এ বার হয়তো সমালোচকদের মুখ বন্ধ হবে।
ভারতের ম্যাচে ফেরার সামান্য আশা দেখা যাচ্ছে। কয়েক বলের ব্যবধানে ফিরলেন আসালঙ্কা এবং মেন্ডিস। তবে এখনও ক্রিজ়ে নিসঙ্ক। শতরানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। যত ক্ষণ ক্রিজ়ে থাকবেন তত ক্ষণই ভয় থাকবে ভারতের।
ভাঙল ১২৭ রানের জুটি। বরুণের বলে স্টাম্পড আউট পেরেরা (৫৮)। শ্রীলঙ্কা ১৩৪/২।
কোথায় বল করলে শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটারকে আউট করা যাবে তা বোঝাই যাচ্ছে না। নিসঙ্ক এবং পেরেরা যে ভাবে খেলছেন তাতে ম্য়াচটি জিতেও যেতে পারে শ্রীলঙ্কা। কোনও বোলারকেই রেয়াত করা হচ্ছে না। মার খাচ্ছেন কুলদীপ, বরুণেরাও। দুই ব্যাটারেই অর্ধশতরান করেছেন।
এশিয়া কাপে দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন। তবে হর্ষিতের বোলিং দেখে মনে হচ্ছে শিক্ষানবিশের মতো বল করছেন। তার বল অনায়াসে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাচ্ছেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটারেরা। বলে কোনও নিয়ন্ত্রণই নেই। ২ ওভারে ২৬ রান হজম করে বসে আছেন। একই অবস্থা অর্শদীপ সিংহের। তাঁরও আত্মবিশ্বাস তলানিতে।
এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিলেও একটা ছাপ রেখে যেতে চাইছে শ্রীলঙ্কা। একটি উইকেট হারালেও মারকুটে মনোভাব থেকে সরছে না। কুশল পেরেরা একের পর এক চার মারছেন। হালকা চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন হার্দিক। পরিবর্ত হিসাবে নেমেছেন রিঙ্কু। কিন্তু শ্রীলঙ্কার চারের বন্যা থামছে না।
হার্দিকের প্রথম বলে চার মেরে শুরুটা ভালই করেছিলেন কুশল মেন্ডিস। চতুর্থ বলে স্লিপে থাকা শুভমনের হাতে ক্যাচ দিলেন তিনি।
এ বারের এশিয়া কাপে কোনও দল যা পারেনি সেটাই করে দেখাল ভারত। ২০০ রানের গন্ডি পেরিয়ে গেল তারা। দুবাইয়ের মন্থর পিচে এই রান তোলা শ্রীলঙ্কার পক্ষে খুবই মুশকিলের। অভিষেক অর্ধশতরান করলেও এক রানের জন্য ৫০ হাতছাড়া তিলকের। তিনি ৪৯ রানে অপরাজিত থাকলেন।
হঠাৎই অতিরিক্ত আগ্রাসী হওয়ার মাশুল দিচ্ছে ভারত। সঞ্জু এবং হার্দিক পর পর ফিরে গেলেন। দুটি ক্ষেত্রেই শ্রীলঙ্কার ফিল্ডারেরা ভাল ক্যাচ নিয়েছেন। তবে হার্দিক খারাপ শট খেলে আউট হয়েছেন।
৫০-কে কিছুতেই ১০০ রানে পরিণত করতে পারছেন না অভিষেক। আউট হলেন ৬১ রানে। আসালঙ্কের বল লেগ সাইডে খেলতে গিয়েছিলেন। ঠিকমতো সংযোগ হয়নি ব্যাটে-বলে। ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ ধরলেন কুশল মেন্ডিস।
এক বার সুইপ করতে গিয়ে বেঁচেছিলেন। দ্বিতীয় বার হল না। হাসরঙ্গের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হল সূর্যকুমারকে। ১৩ বলে ১২ করলেন। এখনও ফর্মে ফিরতে পারলেন না ভারতের অধিনায়ক।
টানা তিনটি ম্যাচে অর্ধশতরান করলেন অভিষেক। এশিয়া কাপে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন ভারতের ওপেনার। ২২ বলে অর্ধশতরান এল। পাওয়ার প্লে-তে শ্রীলঙ্কার বোলারদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। শুভমনকে হারালেও ভারতের শুরুটা ভালই হল।
ভারতের হয়ে প্রতিটি ম্যাচে যা করে এসেছেন সেটাই করছেন অভিষেক। শুরু থেকেই আগ্রাসী খেলে শ্রীলঙ্কার বোলারদের ছন্দ নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ১৩ বলে ২৬ রান হয়ে গিয়েছে তাঁর। অর্থাৎ ২০০ স্ট্রাইক রেট।