আকাশ সিংহের ‘নোটবুক সেলিব্রেশন’। ছবি: পিটিআই।
নির্বাসিত থাকায় বৃহস্পতিবার গুজরাতের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি লখনউয়ের বোলার দিগ্বেশ রাঠী। তবে তাঁর পরিচিত ‘নোটবুক সেলিব্রেশন’ দেখা গেল ম্যাচে। সেই কাজ করলেন তাঁরই সতীর্থ আকাশ সিংহ। তবে বোর্ড এখনও কোনও শাস্তি দেয়নি আকাশকে।
বৃহস্পতিবার গুজরাতের রান তাড়া করার সময় দশম ওভারে জস বাটলারকে আউট করেন আকাশ। বাঁ হাতি পেসার আকাশের বল রক্ষণ করতে গিয়ে লাইন মিস্ করেন বাটলার। বল উইকেট ভেঙে দেয়।
এর পরেই দু’হাত তুলে উচ্ছ্বাস করতে থাকেন আকাশ। তার কিছু ক্ষণ পরে সাজঘরে কারও দিকে তাকিয়ে ‘নোটবুক সেলিব্রেশন’ করেন। মনে করা হচ্ছে, সেটি দিগ্বেশের উদ্দেশেই দেখান তিনি। তবে বাটলারকে উদ্দেশ করে অশোভন কিছু করেননি আকাশ। তাঁর আচরণের মধ্যেও প্রতিপক্ষকে অসম্মান করার ব্যাপার ছিল না। সে কারণেই বোর্ড তাঁকে শাস্তি দেয়নি বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, হায়দরাবাদ ম্যাচে অসভ্যতা করে নির্বাসিত হয়েছিলেন দিগ্বেশ। হায়দরাবাদের ইনিংস চলাকালীন চালিয়ে খেলছিলেন অভিষেক। মাত্র ১৮ বলে অর্ধশতরান করেছিলেন। অষ্টম ওভারে লখনউ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ বল দিয়েছিলেন দিগ্বেশের হাতে। তৃতীয় বলে অভিষেককে আউট করেছিলেন দিগ্বেশ।
বিতর্ক শুরু হয়েছিল এর পরেই। অভিষেকের দিকে হাত নাড়িয়ে তাঁকে দ্রুত মাঠ ছেড়ে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত করেন দিগ্বেশ। এর পর ‘নোটবুক সেলিব্রেশন’ও করেন। এতেই নাটক থামেনি। অভিষেক ফেরার সময় তাঁকে আবার কিছু বলেন দিগ্বেশ। হায়দরাবাদের ব্যাটার এর পর মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেননি। তিনি দিগ্বেশের দিকে এগিয়ে আসেন। হেলমেট খুলে কিছু বলেন লখনউয়ের স্পিনারকে। পাল্টা কথা বলেন দিগ্বেশও। মনে করা হচ্ছে, লখনউয়ের স্পিনার অভিষেকের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমি তো তোমাকে কিছুই বলিনি। তোমার সমস্যা হচ্ছে কেন’? অভিষেক শুনতে চাননি। তিনি প্রতিবাদ করতে থাকেন। শেষে আম্পায়ারেরা এসে মধ্যস্থতা করেন। পরের দিনই নির্বাসিত করা হয় দিগ্বেশকে।