অর্ধশতরানের পর মার্শের উচ্ছ্বাস। ছবি: পিটিআই।
ভিত তৈরি করে দিলেন ওপেনারেরা। চালিয়ে খেললেন নিকোলাস পুরান। শেষ বলে আকাশ দীপের ছয়ে কোনও মতো দুশো পারল করল লখনউ। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ২০৫/৭ তুলল তারা।
আইপিএলের শুরু থেকেই লখনউয়ের ওপেনারেরা একটি কৌশল নিয়েছেন। একজন ব্যাটার শুরু থেকে আগ্রাসী খেলবেন। আর একজন একটা দিক ধরে রাখবেন। আগ্রাসী খেলার রাস্তা নিয়েছেন মিচেল মার্শ। ধরে খেলছেন এডেন মার্করাম। সোমবারও তার ব্যতিক্রম হল না। দুই ক্রিকেটার সফল ভাবেই দায়িত্ব পালন করলেন।
প্যাট কামিন্সের প্রথম ওভারেই ওঠে। হর্ষ দুবের ওভার থেকে আসে ১৭ রান। এর পর থেকে প্রতি ওভারেই দশের কাছাকাছি রান তুলতে থাকেন লখনউয়ের ওপেনারেরা। দশম ওভারে দু’বার মার্শকে আউট করার সুযোগ হারায় হায়দরাবাদ। চতুর্থ বলে মার্শের খোঁচা দিয়েছিলেন হর্ষল পটেলের বলে। ঈশান কিশন একটু আগে ঝাঁপালে ক্যাচ ধরে ফেলতে পারতেন। শেষ বলে হর্ষল নিজেই ক্যাচ ধরেন। তবে বল মাটিতে ঠেকার কারণে সেটিও খারিজ করে দেন আম্পায়ার।
মার্শ শেষ পর্যন্ত ফেরেন ১১তম ওভারে। হর্ষের বলে এশান মালিঙ্গার হাতে ক্যাচ দেন। ৬টি চার এবং ৪টি ছয়ের সাহায্যে ৩৯ বলে ৬৫ রান করেন তিনি। এই ম্যাচে আবার ব্যর্থ ঋষভ পন্থ। ৬ বলে ৭ রান করে মালিঙ্গার বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দেন।
লখনউ যে রান তুলেছে, তার নেপথ্যে নিকোলাস পুরানের ৪৫ রানের ইনিংস। শেষ ওভারে আব্দুল সামাদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হওয়ার আগে যথেষ্ট চালিয়ে খেলেছেন তিনি। শেষ ওভারে মনে হচ্ছিল দুশো পার হবে না। তবে নীতীশ রেড্ডির বলে ছয় মেরে দলকে দুশোর গন্ডি পার করে দেন আকাশ দীপ।