বিরল ঘটনা দেখা গেল মণিপুর বনাম মেঘালয় ম্যাচে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে আউট হয়েও প্রতিবাদ করলেন না ব্যাটার। মাথা নিচু করে বেরিয়ে গেলেন মাঠ ছেড়ে। ক্রিকেটীয় আইন না মেনে আম্পায়ার ভুল সিদ্ধান্ত দেওয়ার পরেও প্রতিবাদ জানাল না তাঁর দল। এমন ঘটনা ঘটেছে রঞ্জি ট্রফিতে মণিপুর বনাম মেঘালয় ম্যাচে।
মণিপুরের ব্যাটার লামাবাম অজয় সিংহকে ‘হিট দ্য বল টোয়াইস’ নিয়ম অনুযায়ী আউট দিয়েছেন আম্পায়ার। তবে অজয় যে কাজটি করেছেন তাতে আউট হওয়ার কথাই নয়। ১৯ বলে ০ রান করে ব্যাট করছিলেন তিনি। মেঘালয়ের আরিয়ান বোরার একটি বল ব্যাট দিয়ে রক্ষণ করেন। বলটি গড়িয়ে যেতে থাকে স্টাম্পের দিকে। অজয় ব্যাট দিয়ে সেই বলটি থামিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে মেঘালয় আউটের আবেদন করে। আম্পায়ার ধর্মেশ ভরদ্বাজও আউট দিয়ে দেন। তার পরে কোনও প্রতিবাদ না করে সাজঘরে ফিরে যান অজয়।
তবে ক্রিকেটের নিয়ম বলছে, অজয় অন্যায় কিছু করেননি। মেরিলীবোন ক্রিকেট ক্লাবের ৩৪.১.১ আইন অনুযায়ী, ‘হিট দ্য বল টোয়াইস’, অর্থাৎ একই ডেলিভারিতে দু’বার বল ব্যাট দিয়ে আঘাত করলে এই আউট দেওয়া হয়। বল ফিল্ডারের কাছে পৌঁছনোর আগেই যদি ব্যাটার নিজের ব্যাট দিয়ে দু’বার ইচ্ছাকৃত ভাবে বলে আঘাত করেন, সে ক্ষেত্রে ‘হিট দ্য বল টোয়াইস’ আউট দেওয়াই যায়। তবে নিজের উইকেট বাঁচানোর স্বার্থে যদি বল সরিয়ে দেন, তা হলে সেটি বৈধ বলেই ধরে নেওয়া হয়।
ফলে অজয় নিজের অধিকারের মধ্যে থেকেই কাজ করেছিলেন। তবু আম্পায়ার আউট দিয়েছেন। এক আধিকারিক বলেছেন, “ও পা দিয়ে বলটা সরিয়ে দিতে পারত। কিন্তু ব্যাট দিয়ে সেই কাজ করেছে। তাই হয়তো আম্পায়ার ওকে আউট দিয়েছেন।”
রঞ্জি ট্রফিতে ‘হিট দ্য বল টোয়াইস’ আউটের নজির আগে পাঁচ বার হয়েছে। প্রথম বার অন্ধ্রপ্রদেশের কে বাভান্না (১৯৬৩-৬৪) এ ভাবে আউট হয়েছিলেন। এর পর জম্মু ও কাশ্মীরের শাহিদ পারভেজ় (১৯৮৬-৮৭), তামিলনাড়ু অনন্ত জর্জ (১৯৯৮-৯৯), জম্মু ও কাশ্মীরের ধ্রুব মহাজন (২০০৫-০৬) এ ভাবে আউট হয়েছেন।