মহম্মদ হ্যারিস। —ফাইল চিত্র।
রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে নিজেরাই নিজেদের পিঠ চাপড়াচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে ভুল পরিসংখ্যান তুলে ধরছে তারা। নিজেদের ভোলাতে ভুল ছড়া বলছে তারা!
দ্রুত রান তুলতে পারছেন না বলে পাকিস্তানের এশিয়া কাপের দলে জায়গা হয়নি বাবর আজ়ম এবং মহম্মদ রিজ়ওয়ানের। অথচ দুর্বল ওমানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে সলমন আঘার দল ২০ ওভারে তুলেছে ১৬০ রান। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে পাকিস্তানের ব্যাটিং নিয়ে। যদিও পাক ব্যাটার মহম্মদ হ্যারিস উদ্বিগ্ন নন। একটি তথ্য দিয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের চেষ্টা করেছেন। যদিও তাঁর দেওয়া তথ্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
এশিয়া কাপের দল নির্বাচনের পর পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসন বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্ট্রাইক রেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যথেষ্ট দ্রুত রান তুলতে পারছে না বলে বাবর, রিজ়ওয়ানের নাম বিবেচনা করা হয়নি। অথচ এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে দুর্বল ওমানের বিরুদ্ধে তাঁর দল ওভার প্রতি তুলেছে ৮ রান। হেসন যে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কথা বলেছিলেন, তা করতে পারেননি সলমন আঘারা। মহম্মদ হ্যারিস (৪৩ বলে ৬৬) ছাড়া কেউ ভাল রান করতে পারেননি। ওমানের বোলিং আক্রমণের সামনে আঘার দলের পাঁচ ব্যাটার দু’অঙ্কের রান করতে পারেননি। ওপেনার সাইম আয়ুব এবং অধিনায়ক আঘা নিজে শূন্য রানে আউট হয়েছেন। প্রথম ম্যাচে দলের বেহাল ব্যাটিং নিয়ে অবশ্য চিন্তিত নন হ্যারিস।
ম্যাচের পর হ্যারিসকে প্রশ্ন করা হয়, দ্রুত রান তুলতে কি আপনাদের সমস্যা হচ্ছে? জবাবে সতীর্থদের পাশে দাঁড়িয়ে হ্যারিস বলেছেন, ‘‘আমাদের দল একাধিক বার যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। আমরা ঢাকায় গিয়ে ১৮০ রান করেছি। মিরপুরের ২২ গজে আর কোনও দল কিন্তু ১৮০ রান করতে পারেনি। যে কেউ আমার কথা মিলিয়ে দেখে নিতে পারেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়েও আণরা ১৮০ রান করেছি। কয়েক দিন আগে শারজায় ২০০ রান তুলেছি। পাকিস্তানের কোনও দল আগে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মাটিতে ২০০ রান করতে পারেনি। আমরা এই ইনিংসগুলো খেলে দেখিয়েছি। দ্রুত রান তোলা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘প্রতিযোগিতার বাকি ম্যাচগুলো একই মানসিকতা নিয়ে খেলতে চাই। কোচ এবং অধিনায়কের পরিকল্পনা মতো নিজেদের সেরাটা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’’
হ্যারিসের দাবি মিলিয়ে দেখা গিয়েছে, তাঁর দেওয়া তথ্য সঠিক নয়। গত ২৪ জুলাই মিরপুরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাঁরা করেছিলেন ৭ উইকেটে ১৭৮ রান। মিরপুরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের তালিকায় তাঁদের ১৭৮ রান রয়েছে ১৬তম স্থানে। সর্বোচ্চ রান বাংলাদেশের ৪ উইকেটে ২১১। নিউ জ়িল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়, অস্ট্রেলিয়া, জ়িম্বাবোয়ে, শ্রীলঙ্কা ১৮০ বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলেছে মিরপুরে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানেরও ১৯১ এবং ১৯১ রানের ইনিংস রয়েছে। তবে ২০২০ সালে বাংলাদেশের ২০০ রানের ইনিংস পর আর কোনও দল মিরপুরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৮০ বা তার বেশি রান তুলতে পারেনি। দলের ব্যর্থতা ঢাকতেই কি খানিকটা তথ্য বিকৃতি করেছেন পাক ব্যাটার?
হ্যারিস স্বীকার না করলেও রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ব্যাটারদের পারফরম্যান্স উদ্বেগে রাখতে পারে পাক শিবিরকে। উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথম বার ২২ গজে মুখোমুখি হবে দু’দেশ।