Asia Cup 2025

ওমানের বিরুদ্ধে বড় জয়, ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিল পাকিস্তান, চিন্তা থাকল ব্যাটিং নিয়ে

দুবাইয়ে আগে ব্যাট করে পাকিস্তান ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তুলেছিল। হ্যারিস অর্ধশতরান করেন। জবাবে ওমানের ইনিংস শেষ ৬৭ রানে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:২৬
Share:

পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাসের একটি মুহূর্ত। ছবি: সমাজমাধ্যম।

কমজোরি আমিরশাহির বিরুদ্ধে টসে জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। একই ধরনের প্রতিপক্ষ ওমানের বিরুদ্ধে ঠিক উল্টো কাজ করলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আলি আঘা। আগে ব্যাটিং নিলেন। পাকিস্তান বড় ব্যবধানে জিতল ঠিকই। তবে মহম্মদ হ্যারিস ছাড়া বাকিদের ব্যাটিং নিয়ে একটু হলেও চিন্তা থাকল।

Advertisement

দুবাইয়ে আগে ব্যাট করে পাকিস্তান ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তুলেছিল। হ্যারিস অর্ধশতরান করেন। জবাবে ওমানের ইনিংস শেষ ৬৭ রানে। পাকিস্তান জিতল ৯৩ রানে। গ্রুপে ভারত এবং পাকিস্তান দু’দলই একটি করে ম্যাচ জিতেছে। তবে নেট রান রেটে ভারত (১০.৪৮) অনেক এগিয়ে পাকিস্তানের চেয়ে (৪.৬৫)।

ম্যাচের আগে চোখে লাগছিল দুবাইয়ের ফাঁকা স্টেডিয়াম। মেরেকেটে হাজার দেড়েক লোক হাজির ছিলেন। ম্যাচ গড়ানোর পর আরও কিছু লোক এলেন ঠিকই। কিন্তু মাঠ ভরা তো দূর, লোয়ার টায়ারই সে ভাবে ভরল না। পুরোপুরি ফাঁকা ছিল আপার টায়ার। এমনিতেই দুবাইয়ে প্রবল গরম। ম্যাচ ৬টার সময়ে শুরু হলেও অনেকেই গরমের কারণে স্টেডিয়ামে আসার আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তাই দুবাইয়ে প্রচুর পাকিস্তানি থাকা সত্ত্বেও প্রায় ফাঁকা গ্যালারির সামনেই জয়ের উৎসব সারলেন সলমনেরা।

Advertisement

বাবর আজ়ম, মহম্মদ রিজ়ওয়ানের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারেরা না থাকায় এই পাকিস্তান দল অনেকাংশেই নতুন। কোচ মাইক হেসন প্রতিযোগিতা শুরুর আগে জানিয়েছিলেন, দলের খোলনলচে বদলানোর চেষ্টা করেছেন। এ বার থেকে তাঁরা আগ্রাসী খেলার চেষ্টা করবেন। তবে শুক্রবার হ্যারিস বাদে আরও কারও মধ্যে দ্রুত খেলার প্রবণতা দেখা গেল না।

ওমান শুরুটা করেছিল খুবই ভাল। দ্বিতীয় বলেই আমির কলিম ফিরিয়ে দেন সাইম আয়ুবকে। মিডল স্টাম্প লক্ষ্য করে আসা বলের লাইন পুরোপুরি মিস্ করেছিলেন আয়ুব। অকারণে রিভিউ নষ্ট করেন। তবে হ্যারিস এবং সাহিবজ়াদা ফারহান মিলে পাকিস্তানের ইনিংস দাঁড় করিয়ে দেন। ফারহান একটা দিক ধরে রেখেছিলেন। উল্টো দিকে চালিয়ে খেলছিলেন হ্যারিস।

দ্বিতীয় উইকেটে দু’জনের ৮৯ রানের জুটি পাকিস্তানকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেয়। অবশ্য বাকি সময়ে যতটা দ্রুত খেলার দরকার ছিল, ততটা পারল না পাকিস্তান। তার একটা প্রধান কারণ দুবাইয়ের পিচ। বেশ মন্থর হয়ে গিয়েছিল পিচ। দ্রুত রান তোলা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। পাশাপাশি ওমানও দলে রেখেছিল একাধিক স্পিনার। ফলে চাইলেও বড় শট খেলতে পারছিলেন না পাকিস্তানের ব্যাটারেরা। স্ট্রাইক রেটও নামছিল নীচের দিকে।

তবু শেষের দিকে খানিকটা চেষ্টা করলেন ফখর জ়মান (১৬ বলে ২৩)। মহম্মদ নওয়াজ় (১৯) কিছুটা চেষ্টা করলেন। তা সত্ত্বেও ১৬০ রানের বেশি তুলতে পারল না পাকিস্তান। কলিম এবং শাহ ফয়সল তিনটি করে উইকেট পান।

পাকিস্তান দলে যতই বদল আসুক, ওমানের পক্ষে তাদের হারাতে গেলে অসম্ভবকে সম্ভব করতে হত। সেটা হয়ওনি। অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার কাছে মার খেলেন ওমানের ক্রিকেটারেরা। পাকিস্তানের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ক্রিজ়‌ে টিকে থাকার মানসিকতা দেখাতে হত। সেটা তারা পারেননি। একমাত্র হামাদ মির্জ়া (২৭) অল্প কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বাকিরা এসেছেন এবং সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন।

পাকিস্তান চমকে দিয়েছে ওপেনার আয়ুবকে দিয়ে শুরুতেই বল করিয়ে। এমনিতে তিনি আংশিক সময়ের স্পিনার। ওমানের বিরুদ্ধে শুরুতেই তাঁকে নিয়ে আসেন সলমন। আয়ুব মান রেখেছেন ৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সুফিয়ান মুকিম এবং ফাহিম আশরফ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement