বৈভব অরোরা। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলের গত মরসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের চমক ছিলেন বৈভব অরোরা। ১১টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। নতুন বলে বৈভবকে কাজে লাগিয়েছিল দল। আগামী মরসুমের আগে বৈভবকে ধরে না রাখলেও আবার নিলামে তাঁকে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকায় কিনেছে কেকেআর। পুরনো দলে ফিরতে পেরে খুশি তিনি। বৈভব জানিয়েছেন, কলকাতা ছাড়া অন্য কোনও দলে খেলতে চান না তিনি। নতুন মরসুমের আগে নতুন অস্ত্রে শান দিচ্ছেন ডানহাতি পেসার।
গত মরসুমে নতুন বলেই বেশি দেখা যেত তাঁকে। কিন্তু এ বার ডেথ বোলিংয়ের দিকেও নজর দিয়েছেন তিনি। বৈভব বলেন, “গত চার বছর ধরে এই দলের সঙ্গে আছি। কেকেআর ছাড়া কোনও দলে আমি খেলতে চাই না। এই দল আমাকে পরিচিতি দিয়েছে। এটা আমার পরিবার। তাই ওরা যখন আমাকে কিনল তখন স্বস্তি পেয়েছিলাম। ওরা যে আমার উপর ভরসা রেখেছে তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এ বার আরও ভাল বল করার চেষ্টা করব।”
নতুন মরসুমের আগে বলে বৈচিত্র আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বৈভব। তিনি বলেন, “গত বছর আমি পাওয়ার প্লে-তে ভাল বল করেছি। এ বার ডেথ বোলিংয়ের উপর পরিশ্রম করছি। তা হলে ম্যাচে যে কোনও সময় আমার উপর অধিনায়ক ভরসা করতে পারবে। স্লোয়ার, ইয়র্কারের মতো বলের দিকে বেশি জোর দিচ্ছি।”
কেকেআরের বোলিং কোচ ভরত অরুণ। তাঁর অধীনে উন্নতি হচ্ছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন বৈভব। তিনি বলেন, “তিন বছর ধরে ভরত স্যরের সঙ্গে কাজ করছি। উনি নিজের অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। প্রতি দিন আরও উন্নতি করছি। আশা করছি এ বার আরও ভাল বল করতে পারব।”
গত মরসুমে বৈভবের সতীর্থ ছিলেন হর্ষিত রানা। গত বার ভাল বল করায় ভারতের হয়ে তিন ফরম্যাটেই অভিষেক হয়েছে তাঁর। বৈভব জানিয়েছেন, হর্ষিত তাঁর ভাইয়ের মতো। আরও এক বার একসঙ্গে খেলতে মুখিয়ে তিনি। বৈভব বলেন, “তিন বছর ধরে আমরা একসঙ্গে খেলছি। গত বার ট্রফি জিততে আমাদের জুটির বড় ভূমিকা ছিল। ও আমার ভাইয়ের মতো। মাঠের বাইরেও আমাদের সম্পর্ক খুব ভাল। এ বার ওকে দল ধরে রেখেছে। আমাকে কিনেছে। আবার একসঙ্গে মাঠে নামব আমরা।”
২১ মার্চ থেকে শুরু আইপিএল। এ বার ভারতীয় বোলারদের মধ্যে হর্ষিত ও বৈভবই দলের প্রধান পেসার। ফলে তাঁদের প্রতি ম্যাচেই দেখা যাবে। গত বার কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন বোলারেরা। সেটাই এ বারও করতে চান বৈভব।