বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র।
অবশেষে শতরান করলেন বাবর আজ়ম। ৮০৭ দিন পর শতরানের ইনিংস এল পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়কের ব্যাট থেকে। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে ১০২ রান করে অপরাজিত থাকেন বাবর। জেতালেন দলকেও।
২০২৩ সালের ৩০ অগস্ট এশিয়া কাপে নেপালের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন বাবর। তার পর আর শতরান করতে পারেননি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ৮৪টি ইনিংস পর তিন সংখ্যার রান এল তাঁর ব্যাট থেকে। একই সঙ্গে একটি নজির গড়েছেন তিনি। এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০তম শতরান করলেন বাবর। ছুঁয়ে ফেললেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সৈয়দ আনোয়ারের কীর্তি। এক দিনের ক্রিকেটে আনোয়ারেরও ২০টি শতরান রয়েছে। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মধ্যে আর কারও এতগুলি শতরান নেই। অর্থাৎ আনোয়ারের সঙ্গে এখন বাবরও এক দিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি শতরান করা পাকিস্তানি ক্রিকেটার।
এ ছাড়া পাকিস্তানের মাটিতে বাবর এক দিনের ক্রিকেটে অষ্টম শতরান করলেন। টপকে গেলেন মহম্মদ ইউসুফের সাতটি শতরানের নজির। পাকিস্তানের আর কোনও ক্রিকেটার দেশের মাটিতে এক দিনের ক্রিকেটে এতগুলি শতরান করতে পারেননি। শুক্রবার শীর্ষে উঠে এলেন বাবর।
১৩৬তম ইনিংসে ২০তম শতরান করলেন বাবর। এ ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বের তৃতীয় দ্রুততম ব্যাটার। সবচেয়ে কম ১০৮টি এক দিনের ইনিংসে ২০টি শতরান রয়েছে হাসিম আমলার। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিরাট কোহলি। তিনি এক দিনের ক্রিকেটে ২০তম শতরান করেছিলেন ১৩৩তম ইনিংসে।
শুক্রবার বাবর ১০২ রান করেছেন ১১৯ বলে। ৮টি চার মেরেছেন। একটিও ছক্কা মারেননি। দীর্ঘ দিন বড় রান না পাওয়া বাবর সতর্ক ছিলেন ২২ গজে। কারণ নেপালের বিরুদ্ধে শতরানের পর ২০ বার অর্ধশতরান করলেও শতরান করতে পারেননি। তাঁর শতরানের সুবাদে এক দিনের সিরিজ়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা করে ৮ উইকেটে ২৮৮ রান। জানিথ লিয়ানাগে করেন ৫৪। কামিন্দু মেন্ডিস (৪৪), সাদিরা সমরবিক্রম (৪২), ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গেরাও (অপরাজিত ৩৭) শ্রীলঙ্কার ইনিংসকে টানেন। পাকিস্তানের সফলতম বোলার আবরার আহমেদ ৪১ রানে ৩ উইকেট নেন। ৬৬ রানে ৩ উইকেট হ্যারিস রউফের। জবাবে ৪৮.২ ওভারে ২ উইকেটে ২৮৯ রান করে পাকিস্তান। তিন নম্বরে নামা বাবরের শতরান ছাড়া পাকিস্তানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে ওপেনার ফখর জামানের ৭৮ এবং মহম্মদ রিজ়ওয়ানের অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস। শুক্রবার ৮ উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে পাকিস্তান।
শতরান পেয়ে খুশি বাবর বলেছেন, ‘‘শতরান না পাওয়া নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলাম, তা নয়। ঈশ্বর যখন চাইবেন, তখনই হবে। যে ভাবে আউট হয়ে যাচ্ছিলাম, সেটা নিয়ে কাজ করেছি। দেশের মাটিতে খেললে চেষ্টা করি, যতটা বেশি সম্ভব সময় ২২ গজে থাকার। সৈয়দ আনোয়ারের মতো খেলোয়াড়ের কীর্তি স্পর্শ করতে পেরে ভাল লাগছে। পাকিস্তানের হয়ে এক দিনের ক্রিকেটে ২০টি শতরান করতে পারব কখনও ভাবিনি।’’