Rahul Tripathi

Rahul Tripathi: লারার পরামর্শে শট বাছাই উন্নত করে স্বপ্নপূরণ ত্রিপাঠীর

বাবা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীরে এক সময় তাঁর পোস্টিং থাকায় ক্রিকেট বন্ধ রাখতে হয়েছিল ত্রিপাঠীকে।

Advertisement

 ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২২ ০৭:৪৭
Share:

আপ্লুত: ভারতীয় দলে সুযোগ পেলেন ত্রিপাঠী। টুইটার

কলকাতা নাইট রাইডার্সে থাকাকালীন ব্রেন্ডন ম্যাকালামের প্রশিক্ষণে বড় শট নিতে শিখেছিলেন রাহুল ত্রিপাঠী। কিন্তু কোন বলে কোন শট আদর্শ, তা বাছাইয়ে সমস্যা হত। তাই অনেক ম্যাচে শুরুটা ভাল করেও শেষটা ঠিক মতো হত না তাঁর। সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদে যাওয়ার পর থেকে তাঁর মধ্যে আমূল পরিবর্তন ঘটে। ১৪ ম্যাচে করেন ৪১৩ রান। প্রত্যেক ম্যাচেই তিন নম্বরে ব্যাট করার সুযোগ পেতে শুরু করেন। ব্রায়ান লারার মতো মেন্টর ও কেন উইলিয়ামসনের মতো অধিনায়কের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ উন্নত হতে সাহায্য করে তাঁকে। ভারতীয় নির্বাচকদের নজরও এড়াতে পারেনি তাঁর সাফল্য। আসন্ন আয়ারল্যান্ড সফরের ভারতীয় দলে প্রথম বারের মতো সুযোগ পেয়ে গেলেন ত্রিপাঠী।

Advertisement

বাবা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীরে এক সময় তাঁর পোস্টিং থাকায় ক্রিকেট বন্ধ রাখতে হয়েছিল ত্রিপাঠীকে। পুণেয় বদলি হওয়ার পর থেকে নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু হয় তাঁর। হায়দরাবাদ শিবিরে কিংবদন্তি ব্যাটারের সঙ্গে বহু সময় কাটিয়েছেন ত্রিপাঠী। যে পরামর্শ আজীবন কাজে লাগবে তাঁর। বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুশীলন থেকে বাড়ি ফেরার সময়ই আনন্দবাজারকে ফোনে ত্রিপাঠী বলছিলেন, ‘‘লারা স্যর আমার শট বাছাই উন্নত করার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। অনুশীলনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমার পাশে থেকেছেন। কোন শট খেলতে আমার সুবিধে হয়, কোন শট সহজে খেলতে পারি না, সেই তালিকাও ছিল ওঁর কাছে। লারা স্যরই শিখিয়েছেন অতি আক্রমণাত্মক না হয়ে আদর্শ ডেলিভারির অপেক্ষা করা উচিত।’’ যোগ করেন, ‘‘কভারের উপর দিয়ে যে শটগুলো নিচ্ছিলাম, সেটা হায়দরাবাদ শিবিরে আসার পরেই রপ্ত করা।’’

লারার আগ্রাসী মনোভাবের পাশাপাশি কেন উইলিয়ামসনের শান্ত মানসিকতার প্রভাব পড়েছে তাঁর উপরে। ত্রিপাঠী বলছিলেন, ‘‘আমি আগে খুবই চাপে পড়ে যেতাম। যে কোনও বড় ম্যাচে স্নায়ুর চাপ গ্রাস করত আমাকে। কিন্তু মাঠে কয়েকটা বল খেলার পরে সব ঠিক হয়ে যেত।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘হায়দরাবাদ শিবিরে কেনের সঙ্গে কথা বলার পরে মনে হত, কেন এত চাপ নিচ্ছি? দলের বাকি ব্যাটারদের উইকেট রক্ষা করার জন্য নিজেই ওপেন করতে চলে যেত। ওকে দেখে শিখেছি, ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসার প্রয়োজন নেই। বরং মোকাবিলা করতে হয়।’’

Advertisement

প্রথম বারের মতো ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন ত্রিপাঠী। বলেন, ‘‘এত দিন এই স্বপ্নটাই দেখতাম। ভারতীয় দলের হয়ে খেলার জন্যই এত পরিশ্রম। এ বার তার ফল পাব। পরিবারের প্রত্যেকে খুশি। তারাও আমারই মতো বিস্মিত।’’ ত্রিপাঠীর সঙ্গে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে তাঁর রাজ্যের ক্রিকেটপ্রেমীরাও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন