Vijay Hazare trophy

ঘরশত্রু বিভীষণ! অন্য রাজ্যকে ট্রফি জিতিয়ে নিজের রাজ্যকেই কাঠগড়ায় তুললেন ক্রিকেটার

রাজস্থানকে শেষ বার ঘরোয়া ট্রফি জিতিয়েছিলেন অশোক মেনারিয়া। সেই অশোকই এ বার হরিয়ানাকে বিজয় হজারে ট্রফি জিতিয়েছেন। তার পর পুরনো দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৫৫
Share:

বিজয় হজারে ট্রফি জিতে উল্লাস হরিয়ানা দলের। ছবি: এক্স।

রাজস্থান শেষ বার ঘরোয়া ট্রফি জিতেছিলে ২০১২ সালে। টানা দ্বিতীয় বারের জন্য রঞ্জি ট্রফি জিতেছিল তারা। সেই দু’বারই রাজস্থানের অধিনায়ক ছিলেন অশোক মেনারিয়া। সেই অশোকই এ বার হরিয়ানাকে বিজয় হজারে ট্রফি জিতিয়েছেন। ফাইনালে নিজের পুরনো দল রাজস্থানকে হারিয়েছেন তিনি। ট্রফি জিতে রাজস্থানকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন অশোক।

Advertisement

গত মরসুমে চোটের কারণে ঘরোয়া ক্রিকেট বেশি খেলতে পারেননি অশোক। তার পরেই রাজস্থান ছেড়ে হরিয়ানায় যোগ দেন তিনি। এত দিনের নেপথ্যের কারণ জানিয়েথেম অশোক। তিনি বলেন, ‘‘গত বার হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম রাজস্থান বোর্ড আমার চোট সারানোর দিকে মন দেবে। উল্টে তারা বলল, আমি নাকি ইচ্ছা করে চোট পাই। খুব খারাপ লেগেছিল। যে দলের জন্য এত কিছু করলাম তারা যখন এ রকম বলে তখন হতাশ লাগে। সেই সময় হরিয়ানা আমার উপর ভরসা করেছিল। ওরা নিজেদের দলে ডেকে নেয়। সেই ভালবাসার দাম দিতে পেরে ভাল লাগছে।’’

ফাইনালে রাজস্থানের বিরুদ্ধে হরিয়ানার ইনিংস সামলান অশোক। দু’উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে অঙ্কিত কুমারের সঙ্গে ১২৪ রানের জুটি বাঁধেন। অঙ্কিত করেন ৮৮ রান। অশোকের ব্যাট থেকে আসে ৭০ রান। দু’জনের ব্যাটে ভর করে হরিয়ানা ২৮৭ রান করে। কঠিন পরিস্থিতিতে কী ভাবে দলকে টেনে নিয়ে যেতে হয় তা দেখিয়েছেন অভিজ্ঞ অশোক। কিন্তু গোটা দলের প্রশংসা শোনা গিয়েছে অধিনায়কের মুখে।

Advertisement

ট্রফি জিতে অশোক বলেন, ‘‘আমার মনে হয় ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে আমরাই একমাত্র দল যেখানে ১১ জনই ব্যাট করতে পারে। আবার ৬-৭ জন বল করতে পারে। তাই আমাদের পরিকল্পনা ছিল জুটি বাঁধার। তার পরে শেষ (রাহুল) তেওতিয়া ও সুমিত (কুমার) ছিল। ওরা নিজেদের কাজ করেছে।’’ উল্লেখ্য, শেষ দিকে তেওতিয়ার ২৪ ও সুমিতের ২৮ রান দলকে ২৫০ পার করায়।

প্রতিপক্ষ দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারের শক্তি-দুর্বলতা জানায় তাঁর সুবিধা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অশোক। তিনি বলেন, ‘‘একটা সময় অভিজিৎ (তোমর) ও কুণাল (সিংহ) ভাল খেলছিল। তখন হর্ষল (পটেল)-কে বলে আনি। ও দু’জনকেই আউট করে। আমি জানতাম রাজস্থান ৬-৭ জনের বেশি ব্যাট করতে পারে না। তাই মিডল অর্ডার শেষ হয়ে গেলেই খেলা আমাদের হাতে চলে আসবে। সেটাই হয়েছে।’’

উল্লেখ্য হরিয়ানার বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান ছিল রাজস্থানের। অভিজিৎ ১০৬ ও কুণাল ৭৯ রানে খেলছিলেন। দু’জনকেই হর্ষল আউট করেন। তার পরে আর জুটি হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৪৮ ওভারে ২৫৭ রানে শেষ হয়ে যায় রাজস্থান। ৩০ রানে জেতে হরিয়ানা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন