রবিচন্দ্রন অশ্বিন। —ফাইল চিত্র
আইপিএল-সহ ভারতের সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ইতিমধ্যেই অবসর নিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সব ঠিকঠাক থাকলে তাঁকে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে সিডনি থান্ডারের হয়ে খেলতে দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অশ্বিনের সতীর্থ হবেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার সাদাব খান।
এশিয়া কাপে করমর্দন বিতর্কে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সমালোচনা করেছিলেন অশ্বিন। ভারতের কাছে হেরে গিয়ে অহেতুক নাটক করছে পাকিস্তান, বলেছিলেন অশ্বিন। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত না মিলিয়ে ঠিক করেছে ভারতীয় দল। এ বার পাকিস্তানী সতীর্থের সঙ্গে অশ্বিন কী করেন, সেটাই দেখার।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে দিতে পারে অস্ট্রেলিয়ার দলটি। বিগ ব্যাশ লিগে খেলা উল্লেখযোগ্য ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে অশ্বিনই সবচেয়ে বড় নাম হতে চলেছেন।
আমিরশাহিতে আইএল টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার একটি দলের সঙ্গে ইতিমধ্যেই নাকি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন অশ্বিন। তার পরই তিনি বিগ ব্যাশ লিগে খেলতে পারবেন। ৪ জানুয়ারির পর অশ্বিন বিগ ব্যাশ লিগে খেলতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও টড গ্রিনবার্গ অশ্বিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বিগ ব্যাশ লিগে খেলার ব্যাপারে তখনই অশ্বিনকে রাজি করান তিনি। আইপিএল থেকে অবসর নেওয়ায় ভারতের কোনও ধরনের ক্রিকেটের সঙ্গে আর যোগাযোগ নেই অশ্বিনের। ফলে অস্ট্রেলিয়া লিগে খেলতে তাঁর কোনও বাধা নেই।
অশ্বিন বিগ ব্যাশ লিগে যোগ দেওয়ায় সেই প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তা অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় যে ভারতীয়রা থাকেন তাঁদের কাছেও লিগের জনপ্রিয়তা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
অশ্বিন পরের বছরের বিবিএলের ড্রাফ্টে ছিলেন না। তাঁর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, যাতে অশ্বিন প্রতিযোগিতায় খেলতে পারেন। একই ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল নিউ জ়িল্যান্ডের মার্টিন গাপটিলের জন্য। তিনি ২০২২-এ মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে খেলেছিলেন।
সিডনিতে অশ্বিন সতীর্থ হিসেবে পাবেন পাকিস্তানের শাদাব খান, ইংল্যান্ডের স্যাম বিলিংস, নিউ জ়িল্যান্ডের লকি ফার্গুসনকে। এ ছাড়া স্পিন বিভাগে তিনি পাবেন ক্রিস গ্রিন, টম অ্যান্ড্রুজ় এবং তনবীর সাঙ্ঘাকে। সিডনির মাঠে এমনিই স্পিনারেরা সাহায্য পান। সেখানে অশ্বিনের বোলিং কার্যকরী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অশ্বিন যদি সিডনি থান্ডারে যোগ দেন তা হলে আগামী ১৬ জানুয়ারি সিডনি সিক্সার্সের বিরুদ্ধে ডার্বি ম্যাচে খেলতে পারেন তিনি। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক বাবর আজম এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের বিরুদ্ধে খেলতে পারেন তিনি।