চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আইপিএল হাতে কোহলি। — ফাইল চিত্র।
গত বারের আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হলেও পরের বছর বেঙ্গালুরুতে ঘরের মাঠে খেলা নিশ্চিত নয় আরসিবি-র। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র না পেলে তাদের অন্য শহরে খেলতে হতে পারে। রাজ্য সরকার অনুমতি দিলে তবেই হতে পারে ম্যাচ।
সম্প্রতি কর্নাটক সরকার নির্দেশ দিয়েছে, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করতে হলে পূর্ণাঙ্গ পরিকাঠামোগত ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে স্টেডিয়ামকে। কর্নাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাকে এই নির্দেশ পাঠিয়েছে বেঙ্গালুরুর পূর্ত দফতর। স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা পরীক্ষার অবশ্যই ‘ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড ফর টেস্টিং অ্যান্ড ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরিজ়’-এর বিশেষজ্ঞদের অধীনে হতে হবে। তাঁরাই কঠিন মাপকাঠি দিয়ে যাচাই করে নেবেন আদৌ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম ম্যাচ আয়োজনের উপযুক্ত কি না।
পূর্ত দফতরের ১৭ একর জমির উপর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে। রাজ্য সরকার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, বিশেষজ্ঞেরা ছাড়পত্র দিলেই তবেই সেখানে ম্যাচ আয়োজন করা যাবে।
গত বছর আইপিএল জয়ের পর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সমর্থকদের সঙ্গে উৎসবের আয়োজন করেছিল আরসিবি। মাঠে ঢুকতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন ১১ জন। তার পর থেকেই সেই স্টেডিয়ামে খেলা বন্ধ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো বটেই, ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচও হচ্ছে না। জুলাইয়ে স্বাধীন কমিশনের বিচারপতি জন মাইকেল ডি’কুনহা জানিয়েছিলেন, বড় মাপের অনুষ্ঠান বা ম্যাচ আয়োজন করার ক্ষমতা নেই ওই স্টেডিয়ামের। জন নিরাপত্তার পক্ষে সেটি বিপজ্জনক।