শতরানের পর কোহলির উচ্ছ্বাস। ছবি: পিটিআই।
রবিবার রাঁচীতে বিরাট কোহলির শতরান শুধু সমর্থকদের নয়, মুগ্ধ করেছে তাঁর সতীর্থদেরও। ম্যাচের পর তাঁরা জানিয়েছেন, কোহলির এই ইনিংস চোখের সামনে দেখেও বিশ্বাস হচ্ছে না তাঁদের। কুলদীপ যেমন স্মৃতিচারণ করেছেন, তেমন তিলক এই ইনিংসকে কোহলির সেরা বলে মেনে নিয়েছেন। অর্থাৎ ভারতের ক্রিকেটারও এখন বুঝিয়ে দিচ্ছেন, এক দিনের দলে কোহলিকে চাই। রাঁচী ম্যাচের আগে এবং পরে কোহলির হয়ে মুখ খুলেছিলেন অধিনায়ক কেএল রাহুল। এ বার মুখ খুললেন কুলদীপ এবং তিলক। অর্থাৎ কোহলির হয়ে মুখ খোলা ক্রিকেটারের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
বোর্ডের পোস্ট করা ভিডিয়োয় কুলদীপ বলেন, “বিরাট ভাই যখন অধিনায়ক তখন আমার ক্রিকেটজীবন শুরু হয়। যে ভাবে ও ব্যাট করল, দেখে মনে হল আট-ন’বছর আগের দিনে ফিরে গিয়েছে। ঠিক যে ভাবে ২০১৭, ২০১৮ বা ২০১৯-এ ব্যাট করত। অসাধারণ একটা ইনিংস খেলল। ওকে দেখে খুব আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। অসাধারণ সব শট বেরোল ওর ব্যাট থেকে।”
কুলদীপ জানিয়েছেন, কোহলি পাশে থাকলে তিনি আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। কারণ, বোলিংয়ের সময় অনেক পরামর্শ দেন কোহলি। কুলদীপের কথায়, “কোহলি দলে থাকলে খুব ভাল লাগে। সব সময় কোনও না কোনও পরামর্শ পাওয়া যায়। বোলিংয়ের সময়ও ও এসে বলে যায় কী করতে হবে। ওর মতো সিনিয়রেরা পাশে থাকলে সব সময়েই ভাল। দলের মধ্যেও আলাদা শক্তি এবং স্ফূর্তি আসে। গত কাল মাঠেই সেটা দেখেছেন। ওকে পেয়ে আমরা ভাগ্যবান।”
প্রথম বার কোহলির শতরান চোখের সামনে দেখেছেন তিলক। তাঁর বিশ্বাসই হচ্ছে না এই ইনিংস। বলেছেন, “আমরা কোহলির অন্যতম সেরা ইনিংস দেখতে পেলাম। প্রথম বার সামনে থেকে বিরাট ভাইয়ের শতরান দেখতে পেয়ে খুব খুশি। গত ১৭ বছর ধরে দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছে ও। ব্যাটিং, ফিল্ডিং, সবেতে সেরা। সব সময়ে নিজেকে সকলের আগে রাখতে ভালবাসে। অনেক কিছু শিখেছি ওর থেকে। সামনে থেকে ওর খেলা দেখা ভাগ্যের ব্যাপার। আমি চেষ্টা করি যতটা সম্ভব ওর সঙ্গে কথা বলে কিছু না কিছু শিখতে।”
উল্লেখ্য, ম্যাচের আগে রাহুল বলেছিলেন, “রোহিত ও কোহলির গুরুত্ব আমাদের দলে খুব বেশি। ওদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার সাজঘরে থাকলে সকলের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে যায়। ওদের অভিজ্ঞতা দলের সকলকে অনেক সাহায্য করে। তাই ওদের পেয়ে আমি খুব খুশি।”
রবিবার ম্যাচ হওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন, “রোহিত আর কোহলিকে এ ভাবে খেলতে দেখলে খুব মজা লাগে। ওরা যে স্বাধীনতা নিয়ে খেলে সেটা গোটা কেরিয়ার জুড়েই করেছে। নতুন কিছু নয় ওদের কাছে। অনেক দিন ধরে ওদের চোখের সামনে দেখছি। সাজঘরে ওদের দেখতে পাওয়া আমার কাছে সব সময়েই খুব মজার।”