অর্ধশতরানের পর রোহিতের উচ্ছ্বাস। ছবি: সমাজমাধ্যম।
আসল ম্যাচেই জ্বলে উঠলেন রোহিত শর্মা। শুক্রবার আইপিএলের এলিমিনেটরে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে রোহিতের অর্ধশতরানের সুবাদে বড় স্কোর খাড়া করল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। যোগ্য সঙ্গত দিলেন বাকি ক্রিকেটারেরাও। আগে ব্যাট করে মুম্বই তুলল ২২৮/৫।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলতে দেশে ফিরে যাওয়ায় মুম্বই এই ম্যাচে পায়নি রায়ান রিকেলটনকে। তাঁর পরিবর্ত জনি বেয়ারস্টো অবশ্য কোনও অংশে কম গেলেন না। বেয়ারস্টো অতীতে পঞ্জাবের হয়ে বহু মনে রাখার মতো ইনিংস খেলেছেন। এ দিন তাঁকে দেখে মনেই হয়নি চলতি আইপিএলে প্রথম বার খেলতে নেমেছেন।
চতুর্থ ওভারে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে তিনটি ছয় এবং দু’টি চার মেরে ২৬ রান নিলেন। আগাগোড়া চালিয়ে খেললেন ইংরেজ ব্যাটার। কী ভাবে তিনি নিলামে অবিক্রিত থেকে গিয়েছিলেন সেটাই এখন প্রশ্ন। ২২ বলে ৪৭ করে যখন তিনি ফিরলেন তত ক্ষণে শক্তি ভিতের উপর দাঁড়িয়ে গিয়েছে মুম্বইয়ের ইনিংস।
আগের ম্যাচে একটু ধরে খেললেও গুজরাতের বিরুদ্ধে রোহিত ছিলেন পুরনো ফর্মে। শুরু থেকেই চালিয়ে খেলেছেন। কোনও বোলারকে রেয়াত করেননি। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ওভারে তাঁর ক্যাচ পড়ে। সেই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগান মুম্বইয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক। প্রসিদ্ধ, মহম্মদ সিরাজ, জেরাল্ড কোয়েৎজ়ি থেকে রশিদ খান, গুজরাতের কোনও বোলারই থামাতে পারেননি রোহিতকে।
বেয়ারস্টো ফেরার পর আক্রমণাত্মক খেলাই বজায় রাখেন সূর্যকুমার। তাঁরও একটি ক্যাচ পড়ে। ২০ বলে ৩৩ করে আউট হলেও কাজের কাজটি করে দিয়ে যান সূর্য। তিলক বর্মা করেন ১১ বলে ২৫। রোহিতকে দেখে মনে হচ্ছিল শতরান করবেন। তবে ফিরে গেলেন ৮১ রানে। সেই রশিদই ফেরান তাঁকে।
শেষ দিকে মুম্বইকে টানলেন হার্দিক। শেষ ওভারে কোয়েৎজ়িকে তিনটি ছয় মারলেন তিনি। ৯ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি।