রোহিত শর্মা। ছবি: রয়টার্স।
সাত মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই সিরিজ়ের সেরা ক্রিকেটার রোহিত শর্মা। শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর ম্যাচ জেতানো ১২১ রানের ইনিংস ক্রিকেটপ্রেমীদের নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে। তবে ম্যাচের পর রোহিতের একটি মন্তব্য নতুন করে অবসর জল্পনা উস্কে দিয়েছে। তা নিয়ে মুখ খুলেছেন তাঁর ছোটবেলার কোচ দীনেশ লাড।
সিডনিতে ম্যাচ জিতিয়ে রোহিত বলেছেন, ‘‘আমি জানি না, আবার অস্ট্রেলিয়ায় আসব কিনা। এত বছর ধরে এখানে খেলছি। দারুণ অভিজ্ঞতা। ধন্যবাদ অস্ট্রেলিয়া।’’ ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে অবসরের দিকে কি এক পা বাড়িয়ে দিলেন রোহিত? ২০২৭ সালে বিশ্বকাপ খেলার আশা ছেড়ে দিচ্ছেন! ছাত্রের ব্যাটিংয়ে খুশি দীনেশ অবশ্য পরিষ্কার বলছেন, আগামী বিশ্বকাপ খেলার পরই অবসর নেবেন রোহিত।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দীনেশ বলেছেন, ‘‘রোহিত যে ভাবে ব্যাট করছে, দলকে জেতাচ্ছে, তাতে আমি খুশি। রোহিত ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ খেলবে। তারপর অবসর নেবে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘সিডনিতে শতরান করার মুহূর্তটা দুর্দান্ত। অনেকে বলছিলেন, রোহিত পারফর্ম করতে পারছে না। ওর অবসর নিয়ে নেওয়া উচিত। অথচ রোহিত পর পর দু’টো ম্যাচে দারুণ ব্যাট করল। প্রমাণ করে দিল, ও এখনও সেরাদের মধ্যেই পড়ে। এখনও দেশকে জেতাতে পারে। এই সাফল্যের একমাত্র রহস্য ওর আত্মবিশ্বাস। সে জন্যই এখনই অবসরের কথা ভাবছে না। ২০২৭ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ খেলতে চায় রোহিত। এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। তার পর অবসরের কথা ভাববে।’’
সিডনিতে বিরাট কোহলির সঙ্গে রোহিতের অবিচ্ছেদ্য ১৬৮ রানের জুটিরও প্রশংসা করেছেন দীনেশ। তিনি বলেছেন, ‘‘কোহলিকে নিয়েও নানা রকম কথা হচ্ছিল। খারাপ মন্তব্যও করছিলেন অনেকে। আমি আগেই বলেছিলাম, কোহলিও রান পাবে। ওরা দু’জনেই ভাল খেলবে। আমি ওদের দু’জনকেই ২০২৭ বিশ্বকাপের দলে দেখতে চাই। অনেকে আবার বলেন, রোহিত আর বিরাটের মধ্যে নাকি দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এ সব একদমই সত্যি নয়। ওরা ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দু’জনেই দেশের জন্য খেলে। সত্যি তেমন কিছু থাকলে, আমরা এই দুর্দান্ত জুটিটা দেখতে পেতাম না। একসঙ্গে দেশকে জয় এনে দিতে দেখতাম না।’’ উল্লেখ্য, প্রথম দু’ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর শনিবার কোহলি খেলেছেন ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ় রোহিত এবং কোহলির কাছে ছিল পরীক্ষার। ব্যর্থ হলে তাঁদের এক দিনের দল থেকে ছেঁটে ফেলা সহজ হত। সিডনির ইনিংসের পর কিছু দিন হয়তো চুপ থাকবেন সমালোচকেরা। কোচ গৌতম গম্ভীর বা প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরও তাঁদের নিয়েই পরিকল্পনা করবেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আগে রোহিত ব্যাটিং এবং ফিটনেস নিয়ে অনেক পরিশ্রম করেছেন। ১০ কেজি ওজন কমিয়েছেন।