দলকে জেতানোর পর হেটমায়ার। ছবি: এক্স।
আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেটে আবার শেষ বলে নাটক। শনিবার এমআই নিউ ইয়র্কের বিরুদ্ধে শেষ বলে ছক্কা মেরে জিতল সিয়াটেল অরকাস। নায়ক শিমরন হেটমায়ার। তিনি কায়রন পোলার্ডকে ডিপ ফাইন লেগে ছক্কা মেরে দলকে জেতান।
শেষ ওভারে ৯ রান দরকার ছিল সিয়াটেলের। এমআই অধিনায়ক নিকোলাস পুরান বল দেন পোলার্ডকে। হেটমায়ারের সঙ্গী, নয় নম্বর ব্যাটার জেসি সিং তৃতীয় বলে একটি রান নেন। পরের দুটি বলে হেটমায়ার মাত্র ২ রান করতে পারেন। শেষ বলে ছক্কার দরকার ছিল। আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলা হেটমায়ার ছক্কা মেরে সিয়াটেলকে জিতিয়ে দেন।
পোলার্ড ছোট, মন্থর রান-আপে শরীর লক্ষ্য করে একটি লেংথ বল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু লাইন ভুল হওয়ায় বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়ে। হেটমায়ার নীচু হয়ে পুল মারেন। বল পিছনের দিকে ডিপ ফাইন লেগের উপর দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়। হেটমায়ার ফেরালেন শারজায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের স্মৃতি। ১৯৮৬ সালে চেতন শর্মার শেষ বলে ছক্কা মেরে পাকিস্তানকে জিতিয়েছিলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ।
হেটমায়ার প্রায় একাই অরকাসকে জেতান। পুরানের শতরান ও তেজিন্দর ধিলোঁর ৯৫ রানের সুবাদে এমআই প্রথমে ২৩৮ রান করে। রান তাড়া করতে নেমে অষ্টম ওভারে ১০৭ রানে অরকাসের যখন ৪ উইকেট পড়ে তখন হেটমায়ার নামেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই হেনরিখ ক্লাসেনও আউট হয়ে যান। টেল-এন্ডারদের নিয়ে হেটমায়ার যথাসম্ভব স্ট্রাইক ধরে রাখার চেষ্টা করেন। তিনি কখনোই প্রয়োজনীয় রান-রেট আয়ত্তের বাইরে যেতে দেননি। শুধু তা-ই নয়, চোট নিয়ে ব্যাট করেন তিনি। ১৬তম এবং ১৯তম ওভারে যথাক্রমে ১৮ এবং ২৩ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ছক্কা মেরে দলকে জেতান হেটমায়ার।
চোটটাই যে জিততে সাহায্য করেছে, ম্যাচের পর সে কথা জানিয়ে হেটমায়ার বলেন, ‘‘আসলে চোটটা আমাকে কিছুটা সাহায্য করেছিল। কারণ, আমি বেশি দৌড়তে চাইনি।’’
টানা ১০ ম্যাচ হারের পর জয়ের মুখ দেখল অরকাস।