পাঁচটি শতরান করেও হেডিংলেতে বেনজির হার ভারতের
India vs England 2025

হার নিয়ে ভিন্ন মত গিল-গম্ভীরের

অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্টে হারতে হল শুভমন গিলকে। হারের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সুযোগ নষ্টকেই দায়ী করছেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৫ ০৮:২১
Share:

(বাঁ দিকে) গৌতম গম্ভীর। শুভমন গিল (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

পাঁচটা শতরান। তার মধ্যে ঋষভ পন্থের একারই দুটো। পাঁচ দিনের মধ্যে বেশির ভাগ সময় এগিয়ে থাকা। তবু লিডস টেস্টে জিততে পারল না ভারত। অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্টে হারতে হল শুভমন গিলকে। হারের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সুযোগ নষ্টকেই দায়ী করছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু ক্যাচ ফস্কানো, ব্যাটিং সারিতে নীচের দিকের ব্যাটসম্যানদের অবদান না রাখতে পারার জন্যই হারতে হল।’’ যোগ করেছেন, ‘‘আগের দিন আমরা ভেবেছিলাম ওদের সামনে ৪৩০ রানের কাছাকাছি লক্ষ্য দেব। কিন্তু আমরা ছয় উইকেট হারিয়েছি ২৫ রানে (৩১)। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের ইনিংসে শেষের দিকে আমরা রান করতে পারেনি। যেটা সবসময়ই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই ম্যাচের ফল আমাদের দিকে যায়নি।’’

অথচ সহ-অধিনায়কের দুই ইনিংসে শতরান ছাড়াও কে এল রাহুল, যশস্বী জায়সওয়াল ও গিল নিজেও শতরান করেছেন এই টেস্টে। গিল বলেন, ‘‘নীচের সারির ব্যাটসম্যানদের অবদান রাখার ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছি। শেষের দিকে আমরা খুব দ্রুত উইকেট হারিয়েছি। আগামী টেস্টগুলোয় আমাদের এই সমস্যার সমাধানখুঁজতে হবে।’’

দুই-মেরু: পঞ্চম দিন খেলার ফাঁকে আলোচনা গিল ও বুমরার। মঙ্গলবার। ছবি: সংগৃহীত।

একের পর এক ক্যাচ ফস্কানোর সমস্যাও ভারতের হারের অন্যতম কারণ। যার মধ্যে যশস্বী একাই ফস্কেছেন চারটি ক্যাচ। গিল যদিও তাঁর দলের ফিল্ডারদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। ‘‘নিশ্চিত ভাবে এই ধরনের পিচে সহজে সুযোগ আসে না। আমাদের দলটা তরুণ। এটা আমাদের কাছে একটা শিক্ষা। এর পরে নিশ্চয়ই আমরা এই বিষয়গুলোয় উন্নতি করব,’’ বলেছেন তিনি। যোগ করেন, ‘‘প্রথম দিকে আমরা বেশি রান দিইনি। এক বার বল পুরনো হয়ে গেলে রান আটকানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।’’

সিরিজ়ের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ২ জুলাই। মাঝে বেশ কয়েক দিন বিশ্রাম নিয়ে তরতাজা হয়ে প্রত্যাঘাত চান গিল। পাশাপাশি যশপ্রীত বুমরাকে কোন কোন টেস্টে খেলানো হবে, তা নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাননি গিল। ‘‘ম্যাচ কাছাকাছি এগিয়ে আসার পরে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চাই।’’

তবে গিল সুযোগ নষ্টকেই দায়ী করলেও খেলোয়াড়দের আড়াল করার চেষ্টা করেন গৌতম গম্ভীর। ভারতের কোচ বলেছেন, ‘‘শুধু টেল এন্ডারদের জন্য হারিনি। এটা একটা দল। হারলে দল হারে, জিতলে দল জেতে।’’ গিলের অধিনায়কত্ব নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে হারের পরে। গম্ভীর বলেছেন, ‘‘সবে প্রথম টেস্টে অধিনায়কত্ব করছে। স্নায়ুর চাপ থাকতেই পারে। কিন্তু ও দারুণ নেতৃত্ব দিয়েছে। শতরান করেছে। ওকে কিছুটা সময়ওদিতে হবে।’’

জয়ের পরে স্মিথের সঙ্গে উৎসব রুটের। ছবি: রয়টার্স।

হেডিংলেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতল ইংল্যান্ড। এর আগে ১৯৪৮ সালে অস্ট্রেলিয়া ৪০৪-৩ তুলে জিতেছিল। এত রান তাড়া করে বেন স্টোকসরা জেতার পরে ভারতের বোলিং নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, যশপ্রীত বুমরা ছাড়া কেউই সে ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি। গম্ভীর অবশ্য বলছেন, ‘‘এই দলের বোলিং আক্রমণে এক জন চারটে টেস্ট খেলেছে (প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ)। এক জন দুটো টেস্ট (হর্ষিত রানা)। এক জন এখনও টেস্ট খেলেনি (আরশদীপ সিংহ)। ওয়ান ডে-তে এটা বড় কথা নয়, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরে পিচ কঠিন থাকে। তাই এটা অনেকটা ওদের সমুদ্রে ফেলে দেওয়ার মতো। প্রত্যেকটা টেস্টের পরে ওদের বোলিং নিয়ে আলোচনা শুরু হলে কী ভাবে ওরা এগিয়ে যাবে?’’

দলের জয়ে উচ্ছ্বসিত ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস বলেছেন, ‘‘জ্যাক (ক্রলি) ও বেন (ডাকেট)-এর জুটি আমাদের জয়ের পথে নিয়ে গিয়েছে।’’ ম্যাচের সেরা ডাকেট বলেছেন, ‘‘বুমরা প্রথম ইনিংসে অনবদ্য বোলিং করেছে। কিন্তু এর পরে আমরা বুমরাকে সামলাতে পেরেছি। সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন