উচ্ছ্বসিত: আট উইকেটে জয় আরসিবির। উৎসবের মেজাজে মন্ধানা, জর্জিয়া, কিম ও রিচা। ডব্লিউপিএল Sourced by the ABP
স্মৃতি মন্ধানা ও রেণুকা সিংহ ঠাকুরের দাপটে টানা দ্বিতীয় জয় পেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ডব্লিউপিএল-এর গত বারের চ্যাম্পিয়নরা প্রথম ম্যাচে হারায় গুজরাত জায়ান্টসকে। দ্বিতীয় ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে উড়িয়ে দিল তারা।
রেণুকার সুইংয়ের সামনে বড় ধাক্কা খান শেফালি বর্মা-রা। এক বলে শূন্য রানে ফেরেন শেফালি। অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডও শিকার ভারতীয় মিডিয়াম পেসারের। স্লগ ওভারে বল করতে এসে শিখা পাণ্ডে-কে ফিরিয়ে দেন তিনি। তিন উইকেট নেন রেণুকা ও জর্জিয়া ওয়ারহাম। দু’টি করে উইকেট কিম গার্থ ও
একতা বিস্তের।
মাত্র ১৪১ রানে শেষ হয়ে যায় দিল্লির ইনিংস। জবাবে ১৬.২ ওভারে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান তুলে দেয় আরসিবি। ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন রিচা ঘোষ। কিন্তু অধিনায়ক স্মৃতি মন্ধানা বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট না করলে এত সহজে জিততে পারত না আরসিবি। মাত্র ৪৭ বলে ৮৩ রান করে যান স্মৃতি। ৩৩ বলে ৪২ রান ড্যানি ওয়াট-হজের। ১০৭ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন তাঁরা। সেখানেই আত্মসমর্পণ করে দিল্লি।
ম্যাচটি শেষ করে আসার চেষ্টাই করছিলেন স্মৃতি। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। মোট ১০টি চার ও তিনটি ছক্কার সৌজন্যে এই ইনিংস গড়েন আরসিবি অধিনায়ক। চলতি মরসুমে প্রথম অর্ধশতরান এল
তাঁর ব্যাটে।
ম্যাচ শেষে স্মৃতি বলছিলেন, ‘‘রেণুকা অসাধারণ বল করেছে। জর্জিয়ার প্রশংসাও করা উচিত। বিশেষ করে বোলিং বিভাগের প্রত্যেকে বিপক্ষের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে সাহায্য করেছে।’’ যোগ করেন, ‘‘মরসুমের শুরুর দিকে ছন্দ পেয়েছি। পিচে বল ভাল আসছে। তাই শট খেলতে অসুবিধে হয়নি।’’
চর্চা হচ্ছে রিচা ঘোষের স্টাম্পিং নিয়েও। জেমাইমা রদ্রিগেস রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে কিছুটা ভারসাম্য হারান। ফলে ক্রিজ় থেকে পা অল্পের জন্য বেরিয়ে যায়। বিদ্যুৎ গতিতে তাঁকে স্টাম্প করে ফিরিয়ে দেন রিচা।
মাঠে বসে জেএসডব্লিউ স্পোর্টসের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হার দেখলেন তাঁর দলের। দিল্লির অধিনায়ক মেগ ল্যানিং বলছিলেন, ‘‘মেয়েরা এত ক্যাচ ফস্কাবে ভাবিনি। প্রতিযোগিতা জিততে গেলে এই ধরনের ম্যাচও বার করতে হবে।’’ যোগ করেন, ‘‘এখনও অনেক ম্যাচ আছে। আশা করি, ঘুরে দাঁড়াব।’’