মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
এই বছরের শুরুতেই চোট সারিয়ে উঠেছেন মহম্মদ শামি। ভারতের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেছেন। আইপিএলও খেলছেন। কিন্তু টেস্টে পাঁচ দিন খেলার ধকল তিনি নিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সেই বিষয়ে নিশ্চিত হলে তবেই শামিকে ইংল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের পর থেকে প্রায় এক বছর ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন শামি। গত বছর নভেম্বরে বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে নামেন তিনি। রঞ্জি খেলেন। সেই সঙ্গে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি এবং বিজয় হজারে ট্রফিতেও খেলেন শামি। প্রথমে মনে করা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট খেলতে যাবেন। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। সেই সময় শোনা গিয়েছিল যে, শামি নিজেও টেস্ট খেলতে খুব আগ্রহী নন। তিনি সাদা বলের ক্রিকেটেই মন দিতে চান। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হয় শামির।
বাংলার পেসারের যা দক্ষতা, তাতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে সুযোগ পেতে তাঁর সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আইপিএলেও নিয়মিত খেলছেন। কিন্তু বোর্ডের এক কর্তা বলেন, “লাল বলের জন্য কাউকে দলে নিতে হলে আইপিএলের পারফরম্যান্স দেখে নেওয়া উচিত নয়। নির্বাচকদের নিশ্চিত হতে হবে যে, শামি দিনে ১৫ ওভার বল করতে পারবে। টানা ৬-৭ ওভার বল করতে পারছে কি না সেটাও দেখতে হবে। আইপিএলে সেখানে মাত্র চার ওভার বল করতে হয়। সেটাও আবার দুটো স্পেলে। এটা লাল বলের ক্রিকেটের মাপকাঠি হতে পারে না।”
রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর সেই তালিকায় শামিও নাম লেখাবেন বলে শোনা যাচ্ছিল। যদিও ভারতীয় পেসার নিজেই পোস্ট করে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। বোর্ডের ওই কর্তা বলেন, “দক্ষতার দিক থেকে দেখতে গেলে দলে শামির সুযোগ পাওয়া পাকা। কিন্তু নির্বাচকদের দেখতে হবে শামির শরীর কতটা ধকল নিতে পারছে। লাল বলের ক্রিকেট খেলার জন্য তৈরি কি না। সিরিজ়ের মাঝে অসুবিধা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই তো? শামিকে দলে নেওয়ার আগে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির সঙ্গেও কথা বলতে পারে বোর্ড।”
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচটি টেস্ট খেলবে ভারত। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে যে, জসপ্রীত বুমরাহকে হয়তো তিনটির বেশি টেস্টে খেলানো হবে না। রোহিত, কোহলি না থাকায় দলে অভিজ্ঞতার অভাব থাকবে। শামিকেও যদি না নিয়ে যাওয়া হয় তা হলে বোলিং বিভাগেও অভিজ্ঞতা কমবে। তবে আগামী দিনে শামি লাল বলের ক্রিকেট কতটা খেলবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছেই।