মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
চোট সারিয়ে ফেরার পর থেকে পুরনো মহম্মদ শামিকে দেখা যায়নি। ঘরোয়া ক্রিকেট, ভারতের হয়ে সাদা বলের ক্রিকেট খেললেও ফর্মে ফেরেননি তিনি। তার জেরে ভারতের ইংল্যান্ড সফরের দলে জায়গা পাননি শামি। আইপিএলেও ন’ম্যাচের বেশি খেলানো যায়নি তাঁকে। শামির এই খারাপ ফর্মের কারণ কী? ব্যাখ্যা করলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রধান কোচ ড্যানিয়েল ভেত্তোরি।
এ বারের আইপিএলের আগে নিলামে ১০ কোটি টাকায় শামিকে কিনেছিল হায়দরাবাদ। দলের বোলিং আক্রমণকে শক্তিশালী করতেই শামির পিছনে ঝাঁপিয়েছিল তারা। কিন্তু তা কাজে আসেনি। ন’ম্যাচে মাত্র ৬টা উইকেট নিয়েছেন শামি। ওভার প্রতি ১১.২৩ রান দিয়েছেন তিনি। বাধ্য হয়ে শামিকে প্রথম একাদশের বাইরে রেখেছে হায়দরাবাদ। কিন্তু কেন সমস্যা হচ্ছে শামির?
নিজেদের শেষ ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ১১০ রানে হারিয়েছে হায়দরাবাদ। সেই ম্যাচেও শামি খেলেননি। ম্যাচ শেষে ভেত্তোরি বলেন, “শামি অনেক দিন টি-টোয়েন্টি খেলেনি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই ছন্দে ফিরতে ওর সময় লাগছে।” আইপিএলে শেষ বার ২০২৩ সালে খেলেছিলেন শামি। সে বার গুজরাত টাইটান্সের হয়ে ২৮টা উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। বেগনি টুপি জিতেছিলেন শামি। সে বার রানার্স হয়েছিল গুজরাত। ভেত্তোরি আরও বলেন, “শেষ বার গুজরাতের হয়ে শামির বেগনি টুপি জেতার পর গত ১৮ মাসে আইপিএল অনেক এগিয়ে গিয়েছে। ধারাবাহিকতা এখন ওর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”
শামির বড় শক্তি তাঁর লেংথ। সেটাই এ বারের আইপিএলে খুঁজে পাননি তিনি। চোট সারিয়ে ফেরার পর সুইংও কমে গিয়েছে। তবে বাংলার পেসার যে পরিশ্রম করছেন তার প্রশংসা করেছেন ভেত্তোরি। তিনি বলেন, “শামি যখন ঠিক লেংথে বল করে তখন ওকে খেলা খুব মুশকিল। এ বার সেটাই হচ্ছে না। ও নেটে পরিশ্রম করছে। কিন্তু এখনও ছন্দে ফিরতে পারেনি। তবে ও যা পরিশ্রম করছে তার ফল ও পাবেই।”
শামির এই ছন্দের কথাই শোনা গিয়েছে ভারতের প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরের মুখে। ২০২৩ সালে এক দিনের বিশ্বকাপের পর অস্ত্রোপচার হয়েছিল শামির। দীর্ঘ দিন পরে মাঠে ফেরেন তিনি। বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলেও ছিলেন শামি। তবে গত কয়েক মাসে সেই পুরনো শামিকে পাওয়া যায়নি। এখনও লম্বা স্পেল করতে পারছেন না। সেই কারণেই ইংল্যান্ড সফরের দলে শামিকে নেওয়া হয়নি।
ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে রয়েছেন নীতীশ রেড্ডি। কিন্তু এ বার আইপিএলে খুব একটা ছন্দে দেখা যায়নি তাঁকে। বিশেষ করে বোলার নীতীশকে বেশি ব্যবহার করেনি হায়দরাবাদ। ভেত্তোরি জানিয়েছেন, মরসুমের শুরু থেকে নীতীশের হালকা চোট ছিল। সেই কারণে তাঁকে নিয়ে ঝুঁকি নেননি তাঁরা। ভেত্তোরি বলেন, “আইপিএলের শুরু থেকেই ওর পেশিতে চোট ছিল। তাই ওকে সাবধানে ব্যবহার করেছি। শেষ কয়েকটা ম্যাচে নীতীশ বল করেছে। আগে বেশি বল করাতে গেলে ওর চোট বাড়তে পারত। এখন নীতীশ সুস্থ।”