থারিন্দু রত্নায়েকে। ছবি: এক্স (টুইটার)।
থারিন্দু রত্নায়েকে। শ্রীলঙ্কার বোলিং আক্রমণের নতুন চমক। আর এক বিস্ময় বোলার। দু’হাতে সমান দক্ষতায় বল করতে পারেন। ২৯ বছরের স্পিনার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিষেক টেস্টেই নজর কেড়েছেন তাঁর দক্ষতার জন্য।
গল টেস্টের দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত থারিন্দু বল করেছেন ৪৯.২ ওভার। ১৯৬ রান খরচ করে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আপাত ভাবে দারুণ পারফরম্যান্স বলা যাবে না। তবে প্রথম দিন বাংলাদেশকে বেশ চাপে ফেলে দিয়েছিল তাঁর বোলিং। ওপেনার শাদমান ইসলাম এবং তিন নম্বরে নামা মোমিনুল হককে আউট করেন তিনি। শ্রীলঙ্কার স্পিনার ডান হাতে করেন অফস্পিন। সমান দক্ষতায় স্পিন করাতে পারেন বাঁ হাতেও। টেস্টের প্রথম দিন নিজের ১৫.৫ ওভারে প্রথম বাঁ হাতে বল করতে শুরু করেন। তার আগে পর্যন্ত সব বলই করেছিলেন ডান হাতে। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁকে নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে ক্রিকেট মহলে।
কে এই থারিন্দু? ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর পরিসংখ্যান বেশ আকর্ষণীয়। ২০১৫ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক হয় সিংহলজি স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে। ৭৩টি ম্যাচ খেলে পেয়েছেন ৩৩৭টি উইকেট। ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন ২৬ বার। ম্যাচে ১০ উইকেট পাঁচ বার। সেরা বোলিং ৬৫ রানে ৯ উইকেট। তিনি ব্যাট করেন বাঁ হাতে।
দু’হাতে কেন বল করেন? থারিন্দু বলেছেন, ‘‘যখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছিলাম, তখন মূলত বাঁ হাতেই বল করতাম। পরে দু’হাতেই বল করতে শুরু করি। এখন ডান হাতেই অধিকাংশ বল করি। বাঁ হাতে ৪০ শতাংশ মতো বল করি। কোন হাতে বল করে বেশি উইকেট নিয়েছি, বলতে পারব না। এটা নিয়ে সে ভাবে কখনও ভাবিনি। তবে দু’হাতেই প্রচুর বল করেছি ঘরোয়া ক্রিকেটে।’’
এমন ভাবনা আপনার মাথায় এল কী ভাবে? শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের নতুন আকর্ষণ বলেছেন, ‘‘তেমন কিছু না। ব্যাটারদের কী করে আরও বেশি সমস্যায় ফেলা যায়, সেটা ভাবতে ভাবতেই দু’হাতে বল করার বিষয়টা মাথায় আসে। বল ব্যাটারদের দিকে স্পিন করলে খেলা কঠিন হয়। পিচ ব্যাটিং সহায়ক হলে, দু’হাতে বল করার চেষ্টা করি। ব্যাটারকে দেখে ঠিক করি, কোন হাতে বল করব। যেমন লাল বলে ডান হাতে অফস্পিন করলে ডানহাতি ব্যাটারদের খেলতে অসুবিধা হয়। ডানহাতি ব্যাটারদের বাঁ হাতে বল করলে ওরা অনেকটা জায়গা পেয়ে যায় শট খেলার জন্য। ফলে সহজে রান তুলতে পারে।’’ যখন যে হাতে বল করেন, তখন সেই অনুযায়ী ফিল্ডিং সাজিয়ে নেন থারিন্দু।
থারিন্দু অভিষেক টেস্টে দু’হাতে বল করে নজর কাড়লেও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে বিষয়টি নতুন নয়। সে দেশের কামিন্দু মেন্ডিসও দু’হাতে সমান দক্ষতায় বল করতে পারেন। গত আইপিএলেই দেখা গিয়েছে তাঁর বোলিং দক্ষতা। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেন তিনি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে আইপিএলে অভিষেক হয়েছিল কামিন্দুর।