England Cricket Team

সব থেকে বেশি ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, বাটলারের ১১ জনের দলের সাফল্যের রহস্য কী

পাকিস্তানকে হারিয়ে এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড। সব থেকে বেশি পাঁচটি ম্যাচ জিতেছে জস বাটলারের দল। কী ভাবে সাদা বলের ক্রিকেটে এতটা সফল ইংল্যান্ড?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২২ ১৯:৪৬
Share:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পরে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: এএফপি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে সাদা বলের ক্রিকেটে নিজেদের আধিপত্য ছড়িয়েছে ইংল্যান্ড। মেলবোর্নে ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছেন জস বাটলাররা। প্রথমে সেমিফাইনালে ভারত, তার পর ফাইনালে পাকিস্তান। কী ভাবে বিশ্বের বড় দেশগুলিকে হারাচ্ছে ইংল্যান্ড? পিছনে কী কারণ?

Advertisement

এ বারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের দাপটের পিছনে প্রধান কারণ হিসাবে উঠে আসছে তাদের দলে অলরাউন্ডারের সংখ্যা। দলের ১১ জন ক্রিকেটারের মধ্যে ১০ জন ভাল ব্যাট করতে পারেন। আবার ১১ জনের মধ্যে ১০ জন বলও করতে পারেন। তার ফলে ইংল্যান্ড দলে বৈচিত্র অন্য সব দলের থেকে অনেক বেশি।

ফাইনালে ইংল্যান্ডের প্রথম একাদশ দেখলে বিষয়টা বোঝা যাবে। ওপেন করতে নামেন জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস। তিন থেকে পাঁচ নম্বরে ফিলিপ সল্ট, বেন স্টোকস ও হ্যারি ব্রুক। ছয় ও সাতে মইন আলি, লিয়াম লিভিংস্টোন। আট থেকে ১১ নম্বর পর্যন্ত রয়েছেন স্যাম কারেন, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডন ও আদিল রশিদ।

Advertisement

ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম ওভারে বল করলেন বেন স্টোকস। আবার সেই স্টোকস শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে অর্ধশতরান করলেন। দলকে জেতালেন। স্টোকস ছাড়াও লিভিংস্টোন, মইনরা অনেক ম্যাচে ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়েছেন। এই সুবিধা অন্য দলগুলির থেকে ইংল্যান্ডকে আলাদা করছে। বেশি সুবিধা দিচ্ছে।

দলের ১১ জনের মধ্যে একমাত্র আদিল রশিদ ছাড়া বাকি সবাই ভাল ব্যাট করতে পারেন। ১০ নম্বরে নামা ক্রিস জর্ডনের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং গড় ১৫.০৭, যা ১০ নম্বরে নামা ব্যাটার হিসাবে যথেষ্ট ভাল। তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৩৬.৫৬। ফাইনালে ব্যাট করতেই হল না লিভিংস্টোনকে। এই লিভিংস্টোন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অন্যতম বড় তারকা। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে দলের ব্যাটিং কতটা গভীর।

ঠিক একই ভাবে দলে ১০ জন বল করতে পারেন। অধিনায়ক বাটলার উইকেটরক্ষক। বাকি সবাই হাত ঘোরাতে পারেন। অর্থাৎ, প্রতি ম্যাচে প্রয়োজন অনুযায়ী বোলার বদল করার সুবিধা রয়েছে বাটলারের।

ফাইনালে ইংল্যান্ডের যে ১১ জন খেলেছেন তাঁদের মধ্যে ন’জন অলরাউন্ডার। বাটলার ও রশিদ বাদে বাকিরা সবাই ব্যাটে-বলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। অন্য কোনও দলে এই সুবিধা নেই। টি-টোয়েন্টিতে যে দলে অলরাউন্ডারের সংখ্যা বেশি সেই দলের জেতার সম্ভাবনা তত বেশি। সেটাই করে দেখাচ্ছে ইংল্যান্ড। অলরাউন্ডারদের দাপটে এক দিনের পরে এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও জিতেছে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন