সূর্যকুমার যাদব (বাঁ দিকে) ও হার্দিক পাণ্ড্য। —ফাইল চিত্র।
জল্পনা চলছিল। সেটাই সত্যি হওয়ার পথে। কয়েক দিন আগে নতুন ‘অনলাইন গেমিং বিল’ পাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার ফলে অনলাইনে টাকার বিনিময়ে খেলা হয় এমন সব ধরনের অ্যাপকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভারতের প্রধান স্পনসর ‘ড্রিম ১১’-ও এই ধরনেরই এক অ্যাপ। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পনসর হিসাবে আর থাকতে চাইছে না ‘ড্রিম ১১’। ফলে স্পনসর ছাড়াই এশিয়া কাপে খেলতে হতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে।
‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ এক রিপোর্টে এ কথা জানিয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক তাদের বলেছেন, “ড্রিম ১১-এর প্রতিনিধিরা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অফিসে এসেছিলেন। বোর্ডের সিইও হেমঙ্গ আমিনের সঙ্গে তাঁরা দেখা করে জানিয়েছেন, স্পনসর হিসাবে আর থাকতে পারবে ড্রিম ১১। ফলে এশিয়া কাপে দলের কোনও প্রধান স্পনসর থাকবে না। খুব তাড়াতাড়ি বোর্ড নতুন স্পনসরের জন্য দরপত্র হাঁকবে।”
বোর্ডের আরও এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মাঝপথে চুক্তি ভাঙায় ‘ড্রিম ১১’-কে কোনও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না। কারণ, বোর্ডের সঙ্গে যখন তাদের চুক্তি হয়েছিল, তখন সেখানে লেখা ছিল, যদি সরকারের কোনও নীতির কারণে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা হলে তারা চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোনও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না। সেই চুক্তি ‘ড্রিম ১১’-এর কাজে লাগবে।
২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পনসর ‘ড্রিম ১১’। তিন বছরের চুক্তি রয়েছে তাদের। অর্থাৎ, ২০২৬ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ভারতের প্রধান স্পনসর তারা। বোর্ডের সঙ্গে ৩৫৮ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তি মাঝপথে ভাঙতে চলেছে।
এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানায়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ‘ড্রিম ১১’-ও কোনও বিবৃতি দেয়নি। কিন্তু তার মাঝেই সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বোর্ডের সচিব দেবজিৎ শইকীয়া বলেছেন, “যদি অনুমতি না পাই, তা হলে আমরা কিছু করতে পারব না। কেন্দ্রীয় সরকার যা নীতি নেবে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে ক্রিকেট বোর্ড।” অর্থাৎ, এশিয়া কাপে প্রধান স্পনসর থাকবে কি না তা স্পষ্ট করেননি শইকীয়া। পুরোটাই কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তার মাঝেই জানা গিয়েছে, ‘ড্রিম ১১’-ই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছে।