Ranji Trophy 2024

রঞ্জি খেলতে মাঠে বিহারের ২টি দল! আসল-ভুয়ো তফাত করতে নামল পুলিশ, খেলল কারা?

কে আসল, কে ভুয়ো তা ফারাক করাই মুশকিল। বিহার ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি এবং সচিবের মধ্যে দ্বন্দ্ব। শেষ পর্যন্ত মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নামল কোন দল?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৩৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

খেলার জন্য মাঠে বিহারের দু’টি দল। কোন দলটি বৈধ, কোনটি অবৈধ, ফারাক করাই মুশকিল। বিহার ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি এবং সচিবের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরেই তৈরি হল জটিল পরিস্থিতি। নামাতে হল পুলিশ। শুক্রবার সকাল ৯.৩০ থেকে রঞ্জির ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় ১১টায়। শেষ পর্যন্ত মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নামল কোন দল?

Advertisement

বিহার ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি রাকেশ তিওয়ারি এবং সচিব অমিত কুমারের মধ্যে ঝামেলা। ম্যাচের দিন দু’জনের বেছে নেওয়া দু’টি দল পৌঁছে যায় পটনার মাঠে। সভাপতি এবং সচিব দু’জনেরই দাবি তাঁদের বেছে নেওয়া দলকেই খেলতে দিতে হবে। রাকেশ বলেন, “আমরা ক্রিকেটারদের যোগ্যতা অনুযায়ী দল বেছে নিয়েছি। বিহারের সমস্ত সেরা প্রতিভাকে এই দলে নেওয়া হয়েছে। আমাদের দলে শাকিব হুসেইন রয়েছে। আইপিএলে সুযোগ পেয়েছে ও। ১২ বছরের একটা ছেলে অভিষেক করল রঞ্জিতে। দুর্দান্ত প্রতিভা ছেলেটার। অন্য যে দলটি খেলতে এসেছিল, সেটি বেছে নিয়েছেন নিলম্বিত সচিব। তাই সেই দল কখনওই আসল হতে পারে না।”

পাল্টা সভাপতিকে একহাত নিয়েছেন সচিব অমিত। তিনি বলেন, “প্রথমত, আমি নির্বাচন জিতে এসেছি। আমিই বিহার ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচিত সচিব। এক জন সচিবকে এই ভাবে নিলম্বিত করা যায় না। দ্বিতীয়ত, সভাপতি কী করে দল বেছে নিতে পারে? কখনও শুনেছেন বোর্ড সভাপতি রজার বিন্নী দল ঘোষণা করছেন? সব সময় সচিব জয় শাহই সই করেন নির্বাচিত দলের নামের তালিকায়।”

Advertisement

বিহার ক্রিকেট সংস্থার তরফে শুক্রবার একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, “বিহার ক্রিকেট সংস্থার সভাপতির উপর হামলা করা হয়েছিল। তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। ভুয়ো দল নিয়ে যারা এসেছিল তারাই আক্রমণ করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সভাপতি রাকেশও অভিযোগ করেছেন আদিত্য বর্মার বিরুদ্ধে। ২০১৩ সালে স্পটফিক্সিং কাণ্ডে জড়িত ছিলেন আদিত্য। রাকেশ বলেন, “বিহারের নাম খারাপ করতে চায় আদিত্য। ওর ছেলেকে দলে নেওয়া হয়নি বলে এই ধরনের ঝামেলা করা হচ্ছে। আমাদের উপর চাপ দিতে চাইছে ওরা। কিন্তু আমরা কখনও আদিত্যের কথা শুনি না। দল বেছে নেওয়া হয় যোগ্যতা দেখে।” যদিও সচিব অমিতের পাল্টা দাবি, “এখন আদিত্যের বিরুদ্ধে কথা বলছে সভাপতি। কিন্তু যখন ও সভাপতির দলে ছিল, তখন তো কিছু বলেনি। বিহার ক্রিকেট সংস্থা একমাত্র জায়গা যেখানে সচিবের কোনও ক্ষমতা নেই।”

আদিত্য যদিও বলছেন এই লড়াই সভাপতি এবং সচিবের ব্যাপার। তিনি বলেন, “এটা ওঁদের লড়াই। আমার ছেলে ট্রায়ালে ভাল খেলে সুযোগ পেয়েছিল। আমার ছেলেকে যদি কোনও দলে নেওয়া হয়ে থাকে, সেটা আমার দোষ? সভাপতি আমার পিছনে পড়ে রয়েছেন, কারণ আমি ওঁদের সব দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। সেই কারণে আমার উপর দোষ চাপানো হচ্ছে।”

সংস্থার কর্তাদের ঝামেলা যদিও দলের উপর কোনও প্রভাব ফেলেনি। মুম্বইয়ের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ভাল শুরু করেছে বিহার। টস জিতে মুম্বইকে ব্যাট করতে পাঠায় তারা। প্রথম দিনের শেষে ২৩৫ রানে ৯ উইকেট পড়ে গিয়েছে সামস মুলানির দলের। বিহারের অভিজ্ঞ পেসার বীরপ্রতাপ সিংহ ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন