আক্রমণাত্মক বৈভব। ছবি: পিটিআই।
প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছিল। তবে আসল ম্যাচে সব সুদে-আসলে মিটিয়ে দিল বৈভব সূর্যবংশী। ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলে দিল। বৈভবের দাপটে মাত্র ২৪ ওভারেই ম্যাচ জিতে নিল ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
১৭৫ রান তাড়া করতে নেমে বৈভব এবং অধিনায়ক আয়ুষ মাত্রে দাপটের সঙ্গে শুরু করেন। মাত্র সাত ওভারে ৭০ রান উঠে যায়। বিরাট কোহলি যে জার্সি পরে আজীবন ভারতের হয়ে খেলেছেন, সেই ১৮ নম্বর জার্সিই এ দিন পরেছিল বৈভব। আইপিএলে গুজরাতের বিরুদ্ধে শতরান করা এই ব্যাটার বিলেতে গিয়েও ফর্মে।
শুরু থেকেই ইংল্যান্ডের বোলারদের বিরুদ্ধে দাপট দেখাতে শুরু করে। ষষ্ঠ ওভারে জ্যাক হোমকে একই ওভারে তিনটি ছক্কা মারে। ১৮ বলে ৪৮ রানে পৌঁছে যায়। তবে অর্ধশতরান হয়নি। বাঁ হাতি স্পিনার রালফি আলবার্টের বলে তাজিম চৌধরি আলির হাতে ক্যাচ দেয় সে। তিনটি চার এবং পাঁচটি ছয় মেরেছে বৈভব। তার আগে এক ওভার বলও করেছে সে। দু’রান দিলেও উইকেট পায়নি।
বৈভব আউট হওয়ার পর আগ্রাসী খেলতে থাকেন আয়ুষ। এএম ফ্রেঞ্চের বলে পর পর দু’টি বাউন্ডারি মারেন। কিছু ক্ষণ পরে রকি ফ্লিনটফের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। আট রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল ভারত। দ্রুত সাজঘরে ফেরেন মৌলরাজসিংহ চাবদাও (১৩)। তবে সহ-অধিনায়ক অভিজ্ঞান কুন্ডু (৩৪ বলে ৪৫) দলকে জিতিয়ে আসেন।
আগে ব্যাট করে ইংল্যান্ড শুরুটা ভালই করেছিল। ওপেনার আইসাক মহম্মদ ২৮ বলে ৪২ রান করেন। তবে পর পর কয়েকটি উইকেট হারায় তারা। রকি দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন। তিনি ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের ছোট ছেলে। তবে পরের পর উইকেট পতনে ইংল্যান্ড বেশি দূর এগোতে পারেনি। ভারতের কণিষ্ক চৌহান তিনটি এবং মহম্মদ এনান, আরএস অম্বরীশ এবং হেনিল পটেল দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন।