রবিবার শতরানের পর বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই।
গত কয়েক মাসে ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর থেকে নির্বাচকেরা বার বার একটাই কথা বলে এসেছেন, জাতীয় দলে সুযোগ পেতে গেলে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে হবে। যে হেতু একটি ফরম্যাটেই তাঁরা খেলেন, তাই শারীরিক ভাবে প্রস্তুত থাকা দরকার। রাঁচীতে শতরান করে প্রথম এক দিনের ম্যাচে দেশকে জিতিয়ে ঘুরিয়ে গম্ভীরদেরই বার্তা দিলেন বিরাট কোহলি। জানালেন, তিনি কখনওই শারীরিক প্রস্তুতিতে বিশ্বাস করেন না। তাঁর পুরো প্রস্তুতিটাই হয় মানসিক। পাশাপাশি এটাও জানিয়েছেন, তিনি শুধু এক দিনের ক্রিকেটই খেলবেন। অর্থাৎ টেস্টে অবসর ভেঙে ফিরতে পারেন বলে যে জল্পনা চলছে তার কোনও সত্যতা নেই।
ম্যাচের সেরার পুরস্কার নেওয়ার পর কোহলির সঙ্গে কথাবার্তার ফাঁকে সঞ্চালক হর্ষ ভোগলে প্রশ্ন করেন, “এখন তো তুমি একটাই ফরম্যাটে খেলছে। এ ভাবেই কি তোমায় দেখা যাবে?” কোহলি বলেন, “আগামী দিনে এ ভাবেই আমাকে দেখা যাবে। আমি ক্রিকেটের একটা ফরম্যাটেই খেলছি।”
এর পরেই নিজের প্রস্তুতির বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন কোহলি। বলেন, “আমি কখনও মাঠের প্রস্তুতিতে বিশ্বাস করি না। আমার কাছে মানসিক প্রস্তুতিটাই আসল। আমি কঠোর পরিশ্রম করি। যত ক্ষণ আমার শরীর ঠিকঠাক আছে এবং মানসিক তীক্ষ্ণতা রয়েছে, তত ক্ষণ জানি আমি ঠিক আছি। ম্যাচের আগে এক দিনের বিশ্রামও নিয়েছি। এখন আমার ৩৭ বছর বয়স। রিকভারির জন্যও সময় দরকার। এ ভাবেই এত দিন খেলে এসেছি। এখন তো শুধু একটা ফরম্যাটেই খেলি।”
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম এক দিনের ম্যাচের স্কোরকার্ড।
কোহলির সংযোজন, “আমি যে কোনও ম্যাচকেই মনে মনে কল্পনা করে নিই। সেখানে নিজেকে প্রচণ্ড পরিশ্রম করাই। তীক্ষ্ণ রাখার চেষ্টা করি। আমি জানি বিশ্রাম নেওয়ার সময় আমার রয়েছে।”
হঠাৎ করে এক দিনের ক্রিকেট খেলতে নেমে পড়লেও তিনি যে সব সময়েই প্রস্তুত থাকেন সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন কোহলি। বলেছেন, “আমি ৩০০টা এক দিনের ম্যাচ খেলেছি। যদি আপনি খেলাটার সঙ্গে নিয়মিত যুক্ত থাকেন, অনুশীলনে ভাল শট মারতে পারেন এবং এক ঘণ্টা বা দু’ঘণ্টা ব্যাট করতে পারেন, তা হলে জানবেন আপনি ঠিক জায়গাতেই আছেন। খারাপ ফর্মে থাকলে আপনি আরও সময় নেটে কাটানোর চেষ্টা করবেন। এ ছাড়া মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকা এবং খেলাটাকে উপভোগ করাই আমার কাছে আসল।”
রাঁচীতে রবিবার সে ভাবেই নিজের ইনিংস উপভোগ করেছেন কোহলি। তাঁর কথায়, “এ ধরনের ম্যাচ খেলতে সব সময়েই ভাল লাগে। আজ প্রথম ২০-২৫ ওভারে ভাল শট খেলতে পেরেছি। তার পর পিচ ধীরে ধীরে মন্থর হয়ে গিয়েছিল। সব সময়েই নিজের খেলাটা উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। শুরুটা ভাল হলে এবং পরিস্থিতি বুঝে নিতে পারলে বাকি কাজটা সহজ হয়ে যায়। তখনই অভিজ্ঞতা কাজে লাগে।”