গত আইপিএলের সময় ইডেন গার্ডেন্সে বিরাট কোহলির সঙ্গে ঋতুপর্ণ পাখিরা। —ফাইল চিত্র।
রাঁচীতে বিরাট কোহলির পা জড়িয়ে ধরে হঠাৎ ‘বিখ্যাত’ হয়ে গিয়েছেন আরামবাগের সৌভিক মুর্মু। এমন কীর্তিমান সৌভিকই প্রথম নন। গত আইপিএলের সময় বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের পারাতল গ্রামের ঋতুপর্ণ পাখিরাও একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। কোহলির ছোঁয়া পেতে ঋতুপর্ণ টপকেছিলেন ইডেন গার্ডেন্সের ফেন্সিং। নিরাপত্তাকর্মীদের নজর এড়িয়ে পৌঁছে যান মাঠের মাঝখানে।
রবিবার বিকালে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ। সৌভিকের কাণ্ড টেলিভিশনে দেখা হয়নি। পরে বন্ধুদের কাছে শুনে সমাজমাধ্যমে দেখেছেন। দেখে কী মনে হল? বর্ধমান রাজ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আনন্দবাজার ডট কম-কে বললেন, ‘‘সমাজমাধ্যমে দেখেছি, কী আর মনে হবে। খুব একটা অবাক হইনি। আমার চেয়েও অনেক বেশি পাগল ভক্ত রয়েছে। ও কেন এমন করেছে, তা বলতে পারব না।’’ আপনি কেন করেছিলেন? ‘‘কেন করেছিলাম জানি না। আগে থেকে ভেবে কিছু করিনি। এমনিই খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করে ফেলেছিলাম। কোহলিকে কাছ থেকে দেখতে চেয়েছিলাম এক বার। তবে কাজটা ঠিক হয়নি।’’
সেই ঘটনার জন্য কি আফসোস রয়েছে আপনার? ঋতুপর্ণ বললেন, ‘‘আফসোস ঠিক নয়। তবে না করলেই ভাল হত। নিরাপত্তার একটা ব্যাপার তো থাকে। আর কখনও করব না। সেই মামলা এখনও চলছে। এই তো ১৫ ডিসেম্বর আবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে যেতে হবে। জানি না, কী হবে। একটু ভয় তো লাগছেই।’’
সেই ঘটনার পরও ইডেনে খেলা দেখতে এসেছেন ঋতুপর্ণ। কয়েক দিন আগে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট দেখে গিয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমী কলেজ পড়ুয়া। ঋতুপর্ণ বললেন, ‘‘খেলা কেন দেখতে যাব না? এই তো টেস্ট দেখে এলাম ইডেনে। পরেও যাব। আইপিএলও দেখতে যাব। শুধু ওই বছর আইপিএলের আর কোনও ম্যাচ দেখতে পারিনি। আমার ইডেনে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল সে বার।’’
ঋতুপর্ণ ভুল বুঝতে পেরেছেন। প্রিয় ক্রিকেটারের কাছে ও ভাবে পৌঁছে যাওয়া উচিত হয়নি। আশা করছেন, কঠিন শাস্তি পেতে হবে না। ভূগোল অনার্সের ছাত্র চাইছেন, আরামবাগের সৌভিকও ভালয় ভালয় বাবার সঙ্গে বাড়ি ফিরে আসুন।