ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস। ছবি: রয়টার্স।
প্রাক্তনদের সঙ্গে বর্তমানদের লড়াই চলেই। এ বার সেই সঙ্ঘাত চলতি অ্যাশেজ় সিরিজ়ে। দু’দিনে প্রথম টেস্ট হেরে যাওয়া ইংল্যান্ড দলকে শুনতে হয়েছে, তারা অহঙ্কারী। এতেই আঁতে ঘা লেগেছে দলের। পাল্টা দিলেন অধিনায়ক বেন স্টোকস। ব্রিসবেনে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামার আগে সাফ বললেন, তাঁরা আবর্জনা হতে পারেন। তবে অহঙ্কারী নন।
পার্থে হারের পর ইয়ান বথাম, মিচেল জনসন-সহ প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা সমালোচনা করেছেন ইংল্যান্ডের। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার জনসন ইংরেজ দলকে ‘অহঙ্কারী’ বলেছেন। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন বথাম সাফ বলেছেন, ইংল্যান্ড নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি না বদলালে সিরিজ় ছেড়ে দেশে ফিরে আসুক।
স্টোকস জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে। তবে অহঙ্কারী বলা ঠিক নয়। স্টোকসের কথায়, “আপনারা আমাদের আবর্জনা বলতেই পারেন। যা খুশি বলতে পারেন। যে ভাবে চেয়েছি সে ভাবে খেলতে পারিনি। ম্যাচের কিছু কিছু সময় আমরা খারাপ খেলিনি। তার জন্য অহঙ্কারী বলা ঠিক নয়। যা-ই হোক, আমরা সব মেনে নিচ্ছি। কঠিন পথকেও মসৃণ বানিয়ে নিতে চাই। অহঙ্কারীর বদলে আবর্জনা বলতেই পারেন।”
স্টোকসের প্রতিশ্রুতি, ব্রিসবেনে সিরিজ় ড্র করতে নিজেদের সর্বস্ব উজাড় করে দেবেন। অ্যাশেজ়ের আশা বাঁচিয়ে রাখতে চান। ইংরেজ অধিনায়ক বলেছেন, “প্রথম ম্যাচে হারের পর অনেক সমর্থকই হতাশ হয়ে পড়েছেন। তবে এটা পাঁচ ম্যাচের সিরিজ়। এখনও চারটে ম্যাচ বাকি আছে। সবে প্রথমটা হেরেছি। অ্যাশেজ় দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাব এই প্রতিজ্ঞা করেই এসেছি আমরা।”
২০১০-১১ সফরে শেষ বার অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ় জিতেছিল অ্যান্ড্রু স্ট্রসের ইংল্যান্ড। তার পর থেকে ১৬টি টেস্টের মধ্যে ১৪টিতেই হেরেছে তারা। বাকি দু’টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। যে মাঠে তারা পরের ম্যাচ খেলতে নামছে, সেই গাব্বায় ২২টি টেস্টের মধ্যে মাত্র তিনটিতে জিতেছে। ১৯৮৬-তে শেষ বার গাব্বায় জিতেছে তারা।
এ দিকে, ব্রিসবেন টেস্টের আগে আরও সমস্যায় পড়েছে ইংল্যান্ড। ছিটকে গিয়েছেন জোরে বোলার মার্ক উড। ন’মাস পরে ক্রিকেটে ফিরেছিলেন। ১১ ওভার বল করেছিলেন। শনিবার সকালে তিনি অনুশীলন করেননি। বাঁ হাঁটুর চোটের কারণে খেলতে পারবেন না। তাঁর জায়গায় ব্রিসবেনে খেলতে পারেন জশ টং।