মোহনবাগানের কোচ সের্জিয়ো লোবেরা। ছবি: সমাজমাধ্যম।
দু’দিন আগেই মোহনবাগানের কোচ হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে সের্জিয়ো লোবেরাকে। এ বার সহকারী কোচ বেছে নিল তারা। মোহনবাগানের নতুন সহকারী কোচ হলেন ডেভিড দেওগার্সিয়া মার্কুয়েজ়। শনিবার এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে। মোলিনার আমলে যিনি সহকারী ছিলেন, সেই ইগরকে আর রাখা হচ্ছে না।
তবে লোবেরা এসে মোহনবাগানের খোলনলচে আমূল বদলের পথে হাঁটছেন না। মোহনবাগানের যে দল মোলিনার সময়ে ছিল সেটাই রেখে দিচ্ছেন। এমনকি গোলকিপার কোচ বা ফিটনেস প্রশিক্ষককেও রেখে দেওয়া হচ্ছে। নতুন কোনও ফুটবলারকে নেওয়া বা কাউকে বিক্রি করে দেওয়ার ভাবনা আপাতত নেই। মোলিনার দল নিয়েই সন্তুষ্ট লোবেরা। এখনও তিনি ভিসা পাননি। পেয়ে গেলেই কলকাতায় এসে মোহনবাগানের ফুটবলারদের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করে দেবেন।
অতীতে ইস্টবেঙ্গল কোচ করার চেষ্টা করেছিল লোবেরাকে। তবে লাল-হলুদের বদলে লোবেরা বেছে নিয়েছিলেন ওড়িশা এফসি-কে। বলার মতো সাফল্য পাননি। মোলিনার বিদায়ের পর লোবেরাই প্রথম পছন্দ ছিল মোহনবাগানের। তাঁকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ড্র করে বিদায় নেওয়ার পরেই বোঝা গিয়েছিল মোলিনার চাকরি যাবে। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে এসে যে সব মন্তব্য করেছিলেন তাতে বিদায়ের পথ আরও প্রশস্ত হয়ে যায়।
মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ সাফ জানিয়েছিলেন, দল নির্বাচনে তাঁর কোনও হাত ছিল না। যা করার ম্যানেজমেন্টই করেছিল। এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছিল দল পরিচালন সমিতি। মোলিনার মন্তব্যের পরেই তাঁর সঙ্গে দল পরিচালন সমিতির সম্পর্ক খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
দল পরিচালন সমিতির কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছিলেন, গত মরসুমে মোলিনা এই দল নিয়েই যখন আইএসএলের লিগ-শিল্ড এবং কাপ জিতলেন বা কিছু দিন আগে যখন আইএফএ শিল্ড জিতলেন, তখন তো তা হলে প্রশংসা পাওয়ার কথা ছিল ম্যানেজমেন্টের। কিন্তু তিনি তো তখন সেই প্রশংসা করেননি। নিজেই সব কৃতিত্ব নিয়েছেন। ম্যানেজমেন্টও মোলিনাকেই যাবতীয় কৃতিত্ব দিচ্ছে। তা হলে ম্যানেজমেন্টের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে কেন? অবশেষে মোলিনার বিদায়ের পর সব বিষয়ই পরিষ্কার হয়ে যায়।