নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ হারলেও চর্চায় কিন্তু মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। আলোচনার কেন্দ্রে তাঁর ক্ষিপ্রতা। বিশ্বকাপে ভারতের মিডল অর্ডারের অন্যতম ভরসা ক্যাপ্টেন কুলের ওয়ান ডে অভিষেক হয়েছিল ১৫ বছর আগে। ধোনির সেই প্রথম ম্যাচের সতীর্থরা এখন কে কোথায় দেখে নেওয়া যাক।
২০০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচে ডেবিউ হয় ধোনির। সেই ম্যাচে ওপেনার ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দলের অধিনায়কও ছিলেন তিনি। শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সৌরভ। বর্তমানে বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সৌরভ। আইএসএলের অন্যতম দল এটিকে-র একজন অন্যতম মালিকও তিনি।
সৌরভের সঙ্গে সে দিন ওপেন করেন সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। সচিন ৩২ বলে ১৯ রানে আউট হন সেই ম্যাচে। বর্তমানে বেশ কিছু ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসাডর, সচিন রাজ্যসভার সাংসদও। আইএসএলে কেরল ব্লাস্টার্সের মালিকও তিনি। ২০১৮ সালে অল স্টার্স টি২০ টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন শেন ওয়ার্নের সঙ্গে।
তিন নম্বরে নেমে যুবরাজ সিংহ ৩৩ বলে ২১ রানে আউট হন ওই ম্যাচে। ২০১৬ সালে টি-২০ ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল তাঁর। ভাল খেলেছিলেন আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়েও। ক্যানসারের মতো মারণ রোগকে জয় করে নিজের রাজ্য পঞ্জাবের হয়ে ঘরোয়া স্তরে এখনও খেলছেন তিনি।
চার নম্বরে নেমেছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। ৮০ বলে ৫৩ রান করেছিলেন ওই ম্যাচে। বর্তমানে রাহুল দ্রাবিড় অনূর্ধ্ব ১৯ এবং ভারতীয় এ দলের কোচ।
সে দিনের ম্যাচের সেরা মহম্মদ কাইফ ১১১ বলে ৮০ রান করেছিলেন ওই ম্যাচে। বহু দিন ক্রিকেটের বাইরে কাইফ। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ২০১৪-২০১৫ সাল নাগাদ রঞ্জি ট্রফি খেলেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের হয়েও। বর্তমানে ছত্তীসগঢ়ের ক্রিকেট দলে রয়েছেন তিনি।
ছ’নম্বরে নেমে শ্রীধরন শ্রীরাম ওই ম্যাচে ৫ বলে ৩ রান করেন। পান ৩ উইকেট। ২০১২ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসর নেন এই বাঁহাতি। ঘরোয়া স্তরে তামিলনাড়ুর হয়ে খেলতেন তিনি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলেছেন আইপিএলেও। বর্তমানে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে একজন বিশেষজ্ঞ হিসাবে যুক্ত রয়েছেন তিনি।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি সাত নম্বরে নেমে শূন্য রানে ফিরে গিয়েছিলেন সেই ম্যাচে। তবে তাঁর হাত ধরেই ভারতীয় ক্রিকেট দল দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপ জিতেছে, এখনও ভারতীয় দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি।
অজিত আগরকর ওই ম্যাচে ২ উইকেট পান, ২৪ বলে ২৫ রানও করেছিলেন। ২০০৭ সালের পর থেকেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে খানিকটা দূরে অজিত। মু্ম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতেও অসংখ্য ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৩ সালে সবরকমের ক্রিকেট থেকেই অবসর নেন। বিএমআর ওয়ার্ল্ড কর্পোরেট গল্ফ চ্যালেঞ্জ জিতেছেন আগরকর। বর্তমানে গল্ফই খেলছেন তিনি।
ইরফান পাঠান ওই ম্যাচে ১১ বলে ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন, পেয়েছিলেন একটি উইকেটও। বদোদরার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলছেন তিনি। খেলেছেন আইপিএল। শেষ খেলেছেন ২০১২ সালের আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ফিরতে চান ইরফান।
হরভজন সিংহ ছিলেন ওই ম্যাচের একাদশ তম ক্রিকেটার। ২০১১ সালের পর থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দল থেকে খানিকটা দূরে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের উত্থানও এর একটা বড় কারণ। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ানসের হয়ে খেলছেন ভাজ্জি। পঞ্জাবের অধিনায়কত্বও করেছেন। ২০১৬-২০১৭ সালে খেলেছেন রঞ্জি ট্রফিও।
যোগিন্দর শর্মা ২ বলে ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে। বর্তমানে হরিয়ানা পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট যোগিন্দর। দেশের হয়ে খুব বেশি ম্যাচ খেলেননি তিনি। ২০১২ সালের আন্তর্জাতিক টি-২০-তে জরুরি ম্যাচে তিনি আউট করেন পাক ক্রিকেটার মিসবা উল হককে। হরিয়ানার হয়ে খেলেছেন নিয়মিত। রঞ্জি ট্রফিতেও অংশ নিয়েছেন।