ক্যাপ্টেন কুল। তাঁর আমলেই ভারতীয় ক্রিকেটের বর্ণময় উত্থান। একাধিক ক্রিকেটার সাফল্য পেয়েছে তাঁর হাত ধরে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও রয়েছে বেশ কিছু। যার অন্যতম বহু ক্রিকেটারকে যোগ্য সুযোগ না দেওয়া এবং পছন্দের ক্রিকেটারদের দিনের পর দিন সুযোগ দেওয়া। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু ক্রিকেটারকে, যারা ধোনি আমলে যথেষ্ট সুযোগ পাননি।
রবিন উথাপ্পা:গ্রেগ চ্যাপেলের আমলে বিধ্বংসী উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসাবে মোটামুটি দলে জায়গা পাকা করে ফেলেছিলেন রবিন। পরে ধোনির আমলে আর তেমন ভাবে জায়গা পাননি। ভারতের হয়ে ৪৬টি ওয়ানডে এবং ১৩টি টি২০ খেলেছেন রবিন। ছবি:পিটিআই।
পারভেজ রসুল:যে সময়ে ভারত এক জন ভাল অল রাউন্ডারের খোঁজে ছিল, তখনই এক নাগাড়ে ভাল পারফর্ম করে যান জম্মু-কাশ্মীরের এই অলরাউন্ডার। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর পারফরম্যান্স নজরকাড়া হলেও আশ্চর্যজনক ভাবে দেশের হয়ে মাত্র একটি ওয়ান ডে এবং একটি টি২০ খেলেছেন তিনি। ধোনি তাঁকে ভরসা করতে পারেননি।
ধবল কুলকার্নি:আইপিএল হোক বা ঘরোয়া ক্রিকেট, এক নাগাড়ে ভাল পারফর্ম করে গিয়েছেন ধবল। দেশের হয়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে কেরিয়ার সেরা ৪/৩৪ নেন। পরের ম্যাচে নেন ৩ উইকেট। কিন্তু এই সিরিজের পর দল থেকে বাদ পড়েন। দেশের হয়ে ১২ ওয়ানডে-তে ১৯ উইকেট নিয়েছেন ধবল। ছবি:এএফপি।
কেদার যাদব:প্রায় ৪৬ গড়ে পাঁচ হাজার প্রথম শ্রেণির রান করায় ২০১৪ সালে রাঁচীতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জাতীয় দলে সুযোগ পান। কিন্তু ২০ রান করায় দল থেকে বাদ পড়েন। পরে দলে ফিরলেও ধোনির দলের স্থায়ী সদস্য হননি এখনও। ৩২-এর কেদার এখন মোটামুটি সুযোগ পেলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সময় তাঁর হাতে বেশ কম।
মনোজ তিওয়ারি:সম্ভবত ভারতের সবচেয়ে ভাগ্যহীন ক্রিকেটার। দুরন্ত ঘরোয়া মরসুমের পর ২০০৮ সালে দলে সুযোগ পেয়ে ব্যর্থ হন। পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অপরাজিত সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জেতালেও পরের সিরিজেই বাদ পড়েন। এর পর কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ফিরে আসেন। তবে ধোনি-যুগে কখনই দলের স্থায়ী সদস্য হননি।
নমন ওঝা:ধোনি যুগে জন্মানোটাই বোধহয় সবচেয়ে বড় ভাগ্য বিপর্যয়ের কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটের এই দুরন্ত উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের। ধোনির পরে টেস্টে তাঁকেই উইকেটের পিছনে দেখতে চেয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু ঋদ্ধিমানের উদয়ের ফলে সে রাস্তাও বন্ধ হয় নমনের সামনে।