ব্যালন ডি’অর যুদ্ধে বার্সা ২ রিয়াল ১

এল ক্লাসিকোর পর ব্যালন ডি’অর। এক সপ্তাহের মধ্যে দুটোতেই রিয়াল মাদ্রিদকে টপকে গেল বার্সেলোনা। ব্যালন ডি’অর যুদ্ধের স্কোরলাইন দেখে এটাই মনে হতে পারে। সোমবার বর্ষসেরা ফুটবলারের মহার্ঘ ট্রফির তিন ফাইনালিস্টের নাম ঘোষণা করল ফিফা। তাঁরা— বার্সেলোনার লিওনেল মেসি, নেইমার আর রিয়াল মাদ্রিদের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। অর্থাত্ বার্সা ২-রিয়াল ১।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:৫২
Share:

এল ক্লাসিকোর পর ব্যালন ডি’অর। এক সপ্তাহের মধ্যে দুটোতেই রিয়াল মাদ্রিদকে টপকে গেল বার্সেলোনা।

Advertisement

ব্যালন ডি’অর যুদ্ধের স্কোরলাইন দেখে এটাই মনে হতে পারে। সোমবার বর্ষসেরা ফুটবলারের মহার্ঘ ট্রফির তিন ফাইনালিস্টের নাম ঘোষণা করল ফিফা। তাঁরা— বার্সেলোনার লিওনেল মেসি, নেইমার আর রিয়াল মাদ্রিদের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। অর্থাত্ বার্সা ২-রিয়াল ১।

শনিবারই নেইমার বলেছিলেন, বিশ্বের সেরা ফুটবলার বা ব্যালন ডি’অর জেতার জন্য তিনি ফুটবলটা খেলেন না। খেলেন ক্রমাগত ফুটবলে নিজেকে উন্নত করার জন্য। টার্গেটগুলোকে পেরিয়ে যাওয়ার জন্য। তবে নেইমার কিন্তু পাশাপাশি বলেছিলেন তিনি মনে করেন বার্সেলোনার ত্রিফলা, এমএসএন (মেসি, সুয়ারেজ, নেইমার) এ বার ব্যালন ডি’অরের মঞ্চে থাকার যোগ্য দাবিদার। যাদের এ বছর সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে গোলের সংখ্যা ১২৫। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারের উরুগুয়ান সতীর্থ চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা পেলেন না। তাতে কিছুটা মনখারাপ হলেও বার্সেলোনার সমর্থকরা আবার উচ্ছ্বসিত ‘সাওপাওলোর ওয়ান্ডারকিড’ প্রথমবার ‘ফাইনাল থ্রি’তে আসায়। যে নজির গড়ায় বার্সেলোনাকে দু’মিলিয়ন ইউরো দিতে হবে নেইমারের প্রাক্তন ক্লাব স্যান্টোসকে। দু’বছর আগে নেইমার ব্রাজিলিয়ান ক্লাব থেকে বার্সায় সই করার সময় চুক্তি তেমনই ছিল।

Advertisement

তবে গত দু’বার ট্রফিটা যাঁর দখলে ছিল, সেই সিআর সেভেনের সঙ্গে লড়াইটা মূলত নেইমার নয়, আর্জেন্তিনার মহাতারকার। যিনি গত মরসুমে বার্সেলোনাকে ত্রিমুকুট দিয়েছেন। এবং চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণার অনেক আগেই ট্রফিটা যে এ বার মেসিই পাচ্ছেন সে ব্যাপারে অনেকেই একমত। এমনকী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোও। কয়েক দিন আগেই সিআর সেভেন বলেছিলেন, ‘‘সত্যি বলতে আমার মনে হয় এ বার ট্রফিটা মেসিই পাবে। কেন না এই ট্রফিটা কার হাতে উঠবে সেটা ভোটের উপর নির্ভর করে। টুর্নামেন্ট জেতা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়, লিগ দখলে ব্যক্তিগত ভাবে কতটা অবদান থাকল সেটাই বড় কথা।’’ সঙ্গে সিআর সেভেন যোগ করেন, ‘‘হয়তো মরসুমটা আমার অন্যতম ফেভারিট ছিল। ইউরোপের অন্যতম সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুরো ব্যাপারটা সেই ভোটের উপরই। তবে আমি এ নিয়ে খুব একটা ভাবছিও না। কেন না আগেই বলেছি টানা তিন বার ব্যালন ডি’অর জিতব এটা ভাবিনি।’’

এ বছর সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ইউরোপের সেরা পাঁচটি লিগের মধ্যে তিন সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনাল্ডো (৪৫), মেসি (৪০) আর নেইমারের (৪১) মধ্যে ট্রফিটা কার হাতে উঠবে সেটা নির্ভর করছে ছেলেদের জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন, কোচ এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদের ভোটের উপর।

যে ভোট থেকে এ বছরের মেয়েদের বর্ষসেরা ফুটবলারের দৌড়ে চূড়ান্ত তিন জনের তালিকায় জায়গা পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের কার্লি লয়েড, জাপানের আয়া নিয়ামা, জার্মানির সেলিয়া সাসিচ (জার্মানি)। বর্ষসেরা গোলের পুসকাস পুরস্কারের দৌড়ে আছেন ইতালির ক্লাব রোমার আলেসান্দ্রো ফ্লোরেঞ্জি, মেসি, ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ওয়েন্ডেল লিরা। বর্ষসেরা কোচের লড়াইয়ে সেরা তিন বায়ার্ন মিউনিখের পেপ গুয়ার্দিওলা, বার্সেলোনার লুইস এনরিকে ও চিলির জর্জ সাম্পাওলি। কার হাতে ট্রফি উঠছে চূড়ান্ত ঘোষণা ১১ জানুয়ারি।

ব্যালন ডি’অর জিতুন বা নাই জিতুন একটা রেকর্ড গড়ছেনই বার্সেলোনার রাজপুত্র— টানা ন’বার ব্যালন ডি’অরের ফাইনালিস্টের মঞ্চে থাকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন