শিখর ধবন।
হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিয় মাঠে খেলা। যেখানে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৩৩ ম্যাচের মধ্যে ২৮-টাতেই জিতেছে তারা। হতে পারে, টেস্ট সিরিজে এই মাঠে জিততে সমস্যা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু ঘটনা হল, আজ, বুধবার সিরিজের তৃতীয় ওয়ান ডে-তে নামার আগে নিউল্যান্ডসেও কিন্তু ভারতই ফেভারিট।
খুব সহজে সিরিজে ২-০ এগিয়ে যাওয়ার পরে ভারতীয় শিবির আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। যা ঠিকরে বেরোচ্ছে শিখর ধবনের কথায়। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে ধবন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়ে গেলেন, বিশ্বের যে কোনও মাঠে ম্যাচ জেতার ক্ষমতা ভারতের এই ওয়ান ডে দলের আছে। ‘‘আমাদের দলে অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেলটা খুব ভাল। এই আমার কথা ধরুন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আমি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আসছি। ফলে মানসিক এবং ক্রিকেটীয় দিক দিয়ে আমি এ বার তৈরি ছিলাম। আর আমাদের দলের তরুণ ক্রিকেটাররা এমন খেলছে, যেন মনে হচ্ছে ওরা অনেক অভিজ্ঞ। এটাই আমাদের বড় শক্তি।’’
ধবন পরিষ্কার বলে দিচ্ছেন, ভারতীয় টিমের ভারসাম্যটা এখন এত ভাল যে বিদেশে ওয়ান ডে ম্যাচ জিততে সমস্যা হবে না। ভারতীয় ক্রিকেটের ‘গব্বর’ (যে নামে সতীর্থরা তাঁকে ডেকে থাকেন) বলছেন, ‘‘আমাদের দলে একজন অলরাউন্ডার এসে যাওয়ায় টিমের ভারসাম্যটা দারুণ হয়েছে। পরিস্থিতি যদি চায়, তা হলে আমরা স্পিনারদের পরের দিকে আক্রমণে নিয়ে আসতে পারি। কারণ আমাদের হাতে এক জন বাড়তি পেসার থাকছে। আমাদের আক্রমণে এখন অনেক নমনীয়তা এসেছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা পেস-স্পিন আক্রমণ কাজে লাগাতে পারি। দরকার পড়লে প্রথম দিকে হার্দিক পাণ্ড্য এসে বল করে দিতে পারে। এটাই আমাদের এক্স ফ্যাক্টর।’’
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের ওয়ান ডে রেকর্ড এত দিন মোটেই ভাল ছিল না। সেই রেকর্ড এ বার উন্নত করতে চান বিরাট কোহালিরা। তবে সিরিজে এগিয়ে আছেন বলে তাঁরা কোনও ভাবে আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ধবন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের আত্মতুষ্ট হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। এটা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ। টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা খুব ভাল খেলেছে। এ বার আমরা সব ম্যাচ জেতার জন্য ঝাঁপাতে চাই।’’
মহড়া: কেপ টাউনে তৃতীয় ওয়ান ডে আজ। ২-০ এগিয়ে থাকা ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহালি এবং কোচ রবি শাস্ত্রী প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। মঙ্গলবার। ছবি: টুইটার
প্রথম দু’টি ম্যাচে দেখা গিয়েছে, ভারতের দুই রিস্টস্পিনার— কুলদীপ যাদব এবং যুজবেন্দ্র চহাল নিজেদের মধ্যে ১৩ উইকেট নিয়েছেন। নিউল্যান্ডসের পিচ অবশ্য শুকনো নয়। ব্যাটিং উইকেটই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাতে অবশ্য ভারতীয় স্পিনারদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
ধবন বলছেন, ‘‘রিস্টস্পিনারদের খেলা সব সময়ই কঠিন। ওরা ফ্ল্যাট পিচেও বল ঘোরাতে পারে। আর একবার বল ঘুরতে শুরু করলে বিদেশি ব্যাটসম্যানরা অস্বস্তিতে পড়ে যায়। কারণ এ রকম টার্নের বিরুদ্ধে খেলতে এরা অভ্যস্ত নয়। তখনই ব্যাটসম্যানের মনে সংশয় তৈরি হয়ে যায়। যে জন্য আমাদের স্পিনাররা খুব সফল হচ্ছে।’’ দুই স্পিনারের মধ্যে তুলনাও করেছেন ধবন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, ‘‘কুলদীপকে বুঝতে আমার একটু সমস্যা হয়।’’