অভিষেকেই শিখরে

আমি যা চাই, ঠিক সেটা করে দেখাই: মেরি কম

অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও অলিম্পিক্সের ব্রোঞ্জ জয়ী মেরি আর গ্লাভস পরে ফিরবেন না বক্সিং রিংয়ে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:০৪
Share:

উল্লাস: সোনা জয়ের পরে মেরিকে কাঁধে তুলে নিলেন কোচ। ছবি: পিটিআই

শেষ দুটো কমনওয়েলথ গেমসে নামার সুযোগ পাননি। রিও অলিম্পিক্সে যোগ দিতে পারেননি যোগ্যতামান পেরোতে না পারায়। কার্যত বক্সিং রিং থেকে দূরেই সরে গিয়েছিলেন ভারতীয় খেলাধুলার উজ্জ্বলতম মুখ মেরি কম।

Advertisement

অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও অলিম্পিক্সের ব্রোঞ্জ জয়ী মেরি আর গ্লাভস পরে ফিরবেন না বক্সিং রিংয়ে। কিন্তু সব হিসাব ওলট পালট করে দিয়ে গত বছর নভেম্বরে ভিয়েতনামে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে চমকে দিয়েছিলেন মণিপুরের মেয়ে। ওই প্রত্যাবর্তনের পরে আরও দু’টি টুনার্মেন্টে সোনা জেতেন মেরি। তার পরেও প্রশ্ন ছিল, কমনওয়েলথ গেমসে প্রথম বার নামার সুযোগ পেয়ে সোনা জিততে পারবেন তো ৩৫ বছরের বক্সার?

শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে মেরি কম বোঝালেন, সুস্থ থাকলে তিনি এখনও অপ্রিতিরোধ্য। সহজেই ইতিহাস গড়তে পারেন। ‘‘আলিম্পিক্সের সোনা ছাড়া সব পদক আমি পেয়েছি। কমনওয়েলথ পদক ছিল না আমার। সেটাও পেয়ে গেলাম। আমি তৃপ্ত। আমি যদি সুস্থ থাকি তা হলে আমি যা চাইব তা করে ফেলব। কেউ আমাকে রুখতে পারবে না। আজকের সোনা তার প্রমাণ। এই পদকটাও আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে,’’ তিন সন্তানের জননী মেরি যখন এ কথা বলছেন, তখন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ক্রিস্টিনা ও হারাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। সুস্থ করে তোলার জন্য। মেরি জিতেছেন ৫-০ তে। মেরি বলছিলেন, ‘‘আমি ওর সঙ্গে এর আগে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলেছি। জানতাম ও কি করতে পারে। সে জন্য রণনীতিও তৈরি ছিল। নিশ্চিত ছিলাম জিতব। আমার জেতার রসায়ন হল, সুস্থ থাকা এবং রিংয়ে দ্রুত নড়াচড়া করা। আমি ভাগ্যবান রিংয়ে নামার যে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই প্রতিপক্ষকে বুঝে যাই। ভাবনাও কাজে লেগে যায়।’’

Advertisement

বহু আন্তর্জাতিক পদক জিতলেও কমনওয়েলথ গেমসের পদক কখনও জেতেননি। সে জন্যই মেরি এ দিন ছিলেন আরও উচ্ছ্বাসিত। ‘‘আমি যদি মনে করি কোনও একটা কাজ করব। সেটা করবই। আমার স্বামীও আমাকে আটকাতে পারবে না।’’ ২০২০ টোকিও অলিম্পিক্সে নামবেন কি না তা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি মেরি। বলে দিয়েছেন, ‘‘ওখানে ৪৮ কেজি বিভাগ নেই। যদি দারুণ ভাবে তৈরি থাকি তবে ৫১ কেজি বিভাগে নামব।’’ কমনওয়েলথ গেমসের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে মেরিকে পতাকা বাহকের সম্মান দেওয়া হয়েছে।

৪৮ কেজি বিভাগে মেরির দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের দিনে বক্সিংয়ের বিভিন্ন বিভাগে আরও চারটি পদক পেয়েছে ভারত। সোনা জিতলেন গৌরব সোলাঙ্কি (৫২ কেজি) ও বিকাশ কৃষাণ (৭৫ কেজি)। রুপো মণীশ কৌশিক (৬০ কেজি) ও অমিত পঙ্গালের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন