মানু ভাকর (ডান দিক) ও হিনা সিন্ধু। ১০ মিটার এয়ার পিস্তল শ্যুটিংয়ে সোনা ও রুপোজয়ী। ছবি: রয়টার্স।
কমনওয়েলথে ভারতের জন্য সোনার রবিবার। এ দিন তিন-তিনটে সোনা এল। এবং সবকটাই মেয়েদের হাত ধরে।
ভারোত্তলনে পুনম যাদব এবং ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে মানু ভাকর সোনা জেতার পর, মেয়েদের দলগত টেবল টেনিসেও সোনা জিতল ভারত। সিঙ্গাপুরকে ভারতের মেয়েরা হারালেন ৩-১ ম্যাচে।
ভারোত্তলনের ৬৯ কেজি ক্যাটেগরিতে স্ন্যাচ ও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক পর্যায়ে এ দিনই দেশকে পঞ্চম সোনা এনে দেন পুনম।
ইভেন্টের প্রথম থেকেই বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল তাঁকে। স্ন্যাচে পর পর তিনটে প্রচেষ্টায় ৯৫, ৯৮ এবং ১০০ কেজি তোলেন। ক্লিন অ্যান্ড জার্ক-এ ১১৮ ও ১২২ কেজি তুলে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের সারা ডেভিসকে পিছনে ফেলে দেন।
আরও পড়ুন: বিতর্কিত গোলে জয় হাতছাড়া ভারতের
আরও পড়ুন: চোট নিয়েও জোড়া সোনা দুই দক্ষিণী ভারোত্তোলকের
ভারোত্তোলনে সোনা পুনম যাদবের। ছবি: রয়টার্স।
উত্তরপ্রদেশের ছোট্ট একটা গ্রাম চাঁদমারি জন্ম পুনমের। আর্থিক অনটনের মধ্যেও অটল থেকে ভারোত্তোলনের কাজটা কিন্তু চালিয়ে গিয়েছেন। আর এ কাজে তাঁকে সর্বক্ষণ অনুপ্রাণিত করে গিয়েছেন তাঁর দিদি ও জ্যেঠু। ২০০৪-এ এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ-এ অংশ নেন। ২০১৪-য় গ্লাসগো কমনওয়েলথে ৬৩ কেজি ক্যাটেগরিতে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন তিনি। ছোট্ট একটা গ্রাম থেকে কমনওয়েলথের মঞ্চে উঠে আসা এবং শুধু তাই নয় সোনা জিতে দেশকে গৌরবান্বিত করাই ছিল তাঁর স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্নই সাকার করে ছাড়লেন পুনম।
শুধু ভারোত্তোলনই নয়, মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল শুটিংয়ে বাজিমাত করলেন মানু ভাকার। ওই ইভেন্টেই রুপো জিতেছেন হিনা সিন্ধু। পুরুষ বিভাগে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ব্রোঞ্জ জিতেছেন রবি কুমার।
এখনও পর্যন্ত ভারতের মোট পদকের সংখ্যা— সোনা-৬, রুপো-২, ব্রোঞ্জ-২।