বিশ্বকাপ খেলে অবসর নিতে চান স্টেন

সাম্প্রতিক অতীতে ফিটনেস নিয়ে বার বার সমস্যায় পড়েছেন তিনি। তবে স্টেন মনে করছেন, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সদ্যসমাপ্ত টেস্ট সিরিজে তিনি চোট-আঘাত নিয়ে চিন্তা দূর করতে পেরেছেন। তার পরেও অবশ্য ওয়ান ডে দলে বিবেচিত হননি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৮ ০৪:১৯
Share:

লক্ষ্য: অভিজ্ঞতা দিয়ে দলকে সাহায্য করতে চান স্টেন। ফাইল চিত্র

পরের বছর বিশ্বকাপ খেলে ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চান ডেল স্টেন। এমনও মনে করছেন যে, তাঁর অভিজ্ঞতা দক্ষিণ আফ্রিকা দলের কাজে আসতে পারে।

Advertisement

স্টেন এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ান ডে দলে নেই। তরুণ পেস বোলারদেরই খেলাচ্ছে তাঁর দেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অন্যতম সেরা পেসার মেনে নিচ্ছেন, কাগিসো রাবাডা এখন তাঁর চেয়ে অনেক ভাল বোলার। তবু মনে হচ্ছে, ১১৬টি ওয়ান ডে এবং দু’টি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা কাজে দিতে পারে ইংল্যান্ডে। ‘‘সাদা বলে আমাদের প্রধান সমস্যা বোলিং,’’ বলছেন স্টেন। তাঁর বিশ্লেষণ, ‘‘আমার মনে হয় না অভিজ্ঞতার অভাবই বোলিং নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। আমাদের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানকে ধরা হলে ওরা সকলে মিলে আটশোর উপরে ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু আমাদের বোলিং বিভাগের সব মিলিয়ে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ১৫০ মতো। এখানেই বড় পার্থক্য হয়ে যাচ্ছে।’’

সাম্প্রতিক অতীতে ফিটনেস নিয়ে বার বার সমস্যায় পড়েছেন তিনি। তবে স্টেন মনে করছেন, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সদ্যসমাপ্ত টেস্ট সিরিজে তিনি চোট-আঘাত নিয়ে চিন্তা দূর করতে পেরেছেন। তার পরেও অবশ্য ওয়ান ডে দলে বিবেচিত হননি। জানাচ্ছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ ওটিস গিবসনের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় সাদা বলের ক্রিকেট খেলে তিনি নিজেকে তৈরি করবেন। প্রয়োজনে তরুণ বোলারদের ‘মেন্টর’-এর ভূমিকা পালন করতেও তিনি রাজি। ‘‘ওরা সকলে শিখছে। যত খেলবে, তত শিখবে। তবে কথাটা হচ্ছে, শিখতে থাকা অবস্থায় বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া যায় না। বিশ্বকাপে খেলতে গেলে ভাল মতো ধারণা থাকতে হবে যে, আমি কী পারি আর পারি না,’’ একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন স্টেন। ২৩ বছরের রাবাডাকে পথ দেখানোর কাজও তিনি করতে পারেন বলে জানিয়েছেন। ‘‘রাবাডা আমার চেয়ে অনেক ভাল। কিছু রেকর্ড হয়তো আমারও আছে কিন্তু এই মুহূর্তে ও আমার চেয়ে অনেক ভাল। যেটা ওর নেই, সেটা আমার আছে এবং সেটাই ওর সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারি।’’ আরও বলেন, ‘‘পঁয়ত্রিশ বছর বয়সেও আমি শিখে চলেছি। আমি এখনও স্বপ্ন দেখি, ওয়ান ডে-তে খেলছি আর দেশকে জেতাচ্ছি।’’

Advertisement

তবে ইংল্যান্ডে সামনের বছর জুনে যে বিশ্বকাপ হতে চলেছ, তাতে থাকবেন না এ বি ডিভিলিয়ার্স। গত মে মাসেই সব রকম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। ২০০৪ সালে ডিভিলিয়ার্সের সঙ্গে একই টেস্টে অভিষেক ঘটেছিল স্টেনের। তাই সতীর্থের অবসর নিয়ে তিনি খুবই দুঃখিত বলে জানিয়েছেন। ‘‘বিশ্ব তারকাদের দেখতে চায় এবং এ বি সেরা তারকাদের এক জন। ব্যাট ধরলে হয়তো ও-ই সব চেয়ে বড় তারকা। প্রতিপক্ষ ওকে ভয় পেত।’’

বিশ্বকাপের পরে এক সঙ্গে অনেক ক্রিকেটারই সরে যেতে পারেন বলেও মনে হচ্ছে স্টেনের। বলছেন, ‘‘নস্ট্রাডামু হতে চাই না। কিন্তু আমার মনে হয়, অনেকেই বিশ্বকাপের পরে সরে যাবে। পরের বিশ্বকাপ আবার চার বছর পরে হবে। তাই অনেকেই হয়তো তত দিন খেলতে চাইবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন