ডান হাতে ব্যাট করে গেলের তিন বলে ১৪ রান নিলেন ওয়ার্নার। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
বাঁ-হাতি বিস্ফোরক ওপেনার হিসেবেই বিশ্বজোড়া পরিচিতি, খ্যাতি। কিন্তু, ডানহাতেও যে ব্যাট করতে পারেন তা দেখিয়ে দিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বুধবার সিলেট সিক্সার্সের হয়ে ডান হাতে ব্যাট করলেন তিনি। আর ক্রিস গেলের বলে হাঁকালেন ছক্কাও।
রংপুর রাইডার্সের বিরুদ্ধে সেটা সিলেট সিক্সার্সের ইনিংসের ১৯তম ওভার। সেই সময় ডেভিড ওয়ার্নার ব্যাট করছিলেন ৪৫ রানে। যা এসেছিল ৩২ বলে। তখনও পর্যন্ত সহজাত ভঙ্গিতে বাঁ-হাতেই ব্যাট করছিলেন বল-বিকৃতি কেলেঙ্কারিতে এক বছরের জন্য নির্বাসিত হওয়া ওয়ার্নার।
সেই ওভারে বল করতে এলেন ক্রিস গেল। প্রথম বলে ওয়ার্নার নিলেন দুই। কিন্তু তার পরের দুটো বলে রান এল না। চতুর্থ বলের সময় ডানহাতি ব্যাটসম্যানের মতো স্টান্স নিলেন তিনি। এতক্ষণ রাউন্ড দ্য উইকেটে বল করছিলেন গেল। সেই ভাবেই বল করলেন। কিন্তু তাঁর ঠিক মাথার উপর দিয়ে ওভারের চতুর্থ বল সোজা ছয় মারলেন ডানহাতি ওয়ার্নার। এবং পূর্ণ করলেন পঞ্চাশ।
আরও পড়ুন: কাল চূড়ান্ত লড়াই, দেখুন একদিনের সিরিজ জিততে কেমন হতে পারে ভারতের সম্ভাব্য একাদশ
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে ‘অ্যাঙ্কর’ ধোনি, দলে পন্থকে দেখছেন না সচিন
গেল এ বার এলেন ওভার দ্য উইকেটে। ওয়ার্নার তখনও ডানহাতি ব্যাটসম্যানের স্টান্সেই থাকলেন। গেলের ওভারের পঞ্চম বল ছিল নিচু ফুলটস। সুইপ করে তা স্কোয়ার বাউন্ডারিতে পাঠালেন ওয়ার্নার। ওভারের ষষ্ঠ বলেও ডানহাতি ওয়ার্নার মারলেন বাউন্ডারি। এ বার অবশ্য রিভার্স সুইপে এল চার। মানে ডান হাতে ব্যাটিং করে গেলের তিন বলে ১৪ রান নিলেন তিনি। ওয়ার্নারকে দেখা গেল তারপর একটু উচ্ছ্বাস দেখাতেও। ওভারের শেষে গেলের সঙ্গে টুকটাক বাক্য-বিনিময়ও বাদ গেল না। শেষ পর্যন্ত ওয়ার্নার ৩৬ বলে ৬১ রানে অপরাজিত থাকলেন।
ম্যাচের শেষে ওয়ার্নার বলেন, “ক্রিস গেলকে মারতে পারছিলাম না ওর উচ্চতা আর যে লেংথে পবল করছিল, তার জন্য। তাই ডান হাতে ব্যাট করার কথা মাথায় ছিল। আমি ডান হাতেই গল্ফ খেলি। তাই ভাবলাম গল্ফ খেলার ভঙ্গিতে ব্যাট চালিয়ে দেখি। আর সেটাই কাজে দিল।” ঘটনা হল, ওয়ার্নার ছেলেবেলায় ডানহাতিই ছিলেন। ব্যাট করতেন ডান হাতে। এখনও ফিল্ডিংয়ে বল ছোড়েন ডান হাতে। এমনকী, নেটে মাঝে মাঝে ডান হাতেও ব্যাট করেন তিনি। গল্ফও খেলেন ডান হাতে। সেই অভিজ্ঞতাই সাহায্য করল গেলের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ের সময়।
তবে এর মধ্যেই খারাপ খবর রয়েছে। কনুইয়ের চোটের জন্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের মাঝপথ থেকে দেশে ফিরতে হচ্ছে তাঁকে। এই প্রতিযোগিতাতেই কনুইয়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ায় ফেরার পর অস্ত্রোপচার হবে তাঁর। মাসখানেকের মতো বাইরে থাকতে হবে তাঁকে। ফলে মার্চের আইপিএলে তাঁর খেলার সম্ভাবনা থাকছে ভাল ভাবেই।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল ,টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)