ধোনিকে কিন্তু এখন কয়েকটা বল দিতে হবে

দুরন্ত স্মিথ, বেঙ্গালুরুতে রান আউট ভারত

আসলে কুলদীপ, বুমরা বা ভুবনেশ্বর এই সিরিজে বল হাতে ঠিক সময় মতো উইকেট তুলে নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়াকে কখনওই মাথা তুলে দাঁড়াতে দেয়নি। কিন্তু ভারতীয় বোলিং-এর সেই দাপট আজ বজায় ছিল না।

Advertisement

অশোক মলহোত্র

শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৩৪
Share:

দুরন্ত স্মিথ। পয়েন্টে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল ধরে উড়ন্ত অবস্থায় উইকেটকিপারকে বল ছুড়ে দেন তিনি।

একদম সঠিক রণকৌশল নিয়েছিল বিরাট কোহালি ও ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সিরিজ আগেই জেতা হয়ে গিয়েছে। তাই উদ্দেশ্য ছিল, আগামী বিশ্বকাপের জন্য মহম্মদ শামি, কেদার যাদব, উমেশ যাদব-দের মতো বিকল্প খেলোয়াড়দের পরখ করে নেওয়া।

Advertisement

সেই সূত্র মেনেই এ দিন বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল চলতি সিরিজের তিন প্রধান বোলার কুলদীপ যাদব, ভুবনেশ্বর কুমার এবং যশপ্রীত বুমরা-দের। একমাত্র রাখা হয়েছিল যুজবেন্দ্র চহালকে।

কিন্তু চেন্নাই, কলকাতা বা ইনদওর-এ যে রকম বল ঘুরেছিল চিন্নাস্বামীতে শুক্রবার সে রকম বল ঘুরতে দেখলাম না। তার উপর এ দিন ম্যাচের শুরু থেকেই বল ব্যাটে আসছিল। আগের তিন ম্যাচের মতো থমকে নয়।

Advertisement

একে টিমটার নাম অস্ট্রেলিয়া। তার উপর ০-৩ পিছিয়ে। অনুকূল পরিবেশে বল শুরু থেকেই ব্যাটে আসছে দেখে ক্রিজে জাঁকিয়ে বসেছিল ওদের দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার (১১৯ বলে ১২৪ রান) এবং অ্যারন ফিঞ্চ (৯৬ বলে ৯৪ রান)। ওপেনিং জুটিতেই ২৩১ রান করে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। আর সেখান থেকেই ম্যাচের দখল অনেকটাই নিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া।

আসলে কুলদীপ, বুমরা বা ভুবনেশ্বর এই সিরিজে বল হাতে ঠিক সময় মতো উইকেট তুলে নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়াকে কখনওই মাথা তুলে দাঁড়াতে দেয়নি। কিন্তু ভারতীয় বোলিং-এর সেই দাপট আজ বজায় ছিল না। অক্ষর পটেল টেনে টেনে বল করে ১০ ওভারে দিল ৬৬ রান। মহম্মদ শামিও ১০ ওভারে দিল ৬২ রান। এই সিরিজে ভুবনেশ্বর কুমার বা যশপ্রীত বুমরা যে ধাক্কাটা দিয়েছে তা এ দিন দিতে পারেনি শামিরা। ফলে খোশমেজাজেই ব্যাট করে গিয়েছে ওয়ার্নাররা।

আরও পড়ুন:মারামারির সেই ভিডিও ফাঁস, চাপে স্টোকস

চিন্নাস্বামীর এই পিচে অস্ট্রেলিয়ার করা ৩৩৪ রান তাড়া করে জেতা অসম্ভব নয়। কিন্তু তার জন্য দু’টো জিনিস দরকার ছিল।

এক) বিরাট কোহালি এবং রোহিত শর্মার একটা বড় রানের জুটি। দুই) সঙ্গে বিরাটের একটা বড় ইনিংস। কারণ এই ভারতীয় দলে ওর মতো রান তাড়া করার মানসিকতা কারও নেই।

কিন্তু যার কোনওটাই শেষ পর্যন্ত হয়নি। ব্যাটে এই সিরিজে নিজেদের ছন্দে পারফর্ম করার পরে জিততে মরিয়া অস্ট্রেলিয়া ফিল্ডিংটাও করল দারুণ। যার সৌজন্যেই রান আউট হয়ে ফিরতে হয় রোহিত শর্মাকে ( ৫৫ বলে ৬৫ রান)। আর এর কিছু পরেই কোহালি আউট (২১ বলে ২১)। ইডেনের মতো এ দিনও নেথান কুল্টার নাইলের বলে আউট হল কোহালি। অফ স্টাম্পের বাইরে সঠিক লেংথেই বলটা ফেলেছিল কুল্টার নাইল। বলটা ভিতরের দিকে ঢুকে আসে। বিরাট বলটা থার্ডম্যানের দিকে ঠেলে রান নিতে গিয়েছিল। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে গিয়ে তা উইকেটে ঢুকে আসে।


স্টিভ স্মিথের ক্ষিপ্রতায় রান আউট রোহিত শর্মা।

বিরাট-রোহিতের জুটিতে এ দিন উঠল ২৯ রান। এই জুটি আরও ৫০-৬০ রান বেশি তুললে ম্যাচটা ২১ রানে হারার বদলে জিতে ফিরতে পারত ভারত। রোহিতের রান আউট হওয়াটা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।

এর পরে কেদার যাদব (৬৯ বলে ৬৭ রান) ম্যাচটা বার করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তখন আস্কিং রেট দশ-এর উপর চলে গিয়েছে। এ দিন বড় রান পায়নি ধোনিও (১০ বলে ১৩ রান)। অনেকেই হয়তো এর পরে ফিনিশার ধোনি হারিয়ে গিয়েছে বলে হইচই করবেন। কিন্তু আমি সেই দলে পড়ছি না। কারণ ধোনির এখন বয়স হয়েছে। সেট হতে গেলে ছ-সাতটা বল এখন খেলতে দিতে হবে ওকে। ও যখন ক্রিজে এল তখন আস্কিং রেট পনেরোর আশপাশে। ফলে শুরু থেকেই চালিয়ে ম্যাচ বার করতে পারেনি ও।

ছবি: এএফপি, পিটিআই

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন