ছবি-এএফপি
৩১৭ রানের মাথায় রবীন্দ্র জাডেজা আউট হন। ৩৩২ রানের মাথায় গোটা টিমই অল আউট হয়ে যায়। সকালে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের ফুরফুরে মেজাজ মাত্র ২৫ রানের ব্যবধানে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল। প্রথম ইনিংসে সব উইকেট খুইয়ে মাত্র ৩২ রানের লিড দেয় ভারত।
ধর্মশালায় ফের নায়ক হয়ে উঠলেন নেথান লায়ন। পুণে, বেঙ্গালুরুর পর এই টেস্টেও পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি। এর সঙ্গে অজি পেসার প্যাট কামিনসও (৩ উইকেট) ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে যথেষ্ট চাপে রেখেছিলেন। সকালে তাঁর বলে জাডেজা আউট হতেই আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি স্মিথদের। ঋদ্ধিমান সাহাকেও (৩১) আউট করেন তিনি।
**************************************************
ধর্মশালায় সোমবার তৃতীয় দিনের প্রথম বল। রবীন্দ্র জাডেজার ব্যাট-প্যাড ঘেঁষে ছুয়ে যায় প্যাট কামিনসের বল। অজি দলের জোরালো আবেদনে দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ার এরাসমাস আউট তুলতে বিন্দুমাত্র দেরিও করেননি। ভারতের সকালটা শুরু হল তা হলে উইকেট দিয়েই? এমনই উদ্বেগ তখন ড্রেসিংরুমে। কিন্তু জাডেজা জানেন ‘গোপন রহস্য কী’? কোনও ইতস্তত না করেই রিভিউ-র আবেদন জানান তিনি। সে যাত্রা বেঁচে গেলেন। এ ভাবেই শুরু হল ভারতের ব্যাটিং সকাল।
হাফ সেঞ্চুরি করার পর জাডেজা (ছবি-এএফপি)
খেলা শুরু হওয়ার পরে দু’ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। নতুন করে কোনও উইকেট না হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সংগৃহীত রান (৩০০) ছুঁয়ে ফেলেছে ঋদ্ধিমান এবং জাডেজার অনবদ্য জুটি। টেস্ট কেরিয়ারের ষষ্ঠতম হাফ সেঞ্চুরিটি করে ফেলেছেন জাডেজা। ঋদ্ধিমানও (২৯) আবার বড় ইনিংস গড়ার পথে।
আরও পড়ুন- ফয়সালার টেস্টে চোখ রাঙাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াই
রবিবার, লোকেশ রাহুল (৬০) এবং চেতেশ্বর পূজারা (৫৭) রানের জুটিতে ভারতেকে লড়াইয়ের জায়গায় নিয়ে আসেন তাঁরা। তবে, সেদিন আবারও দেখা গেল নাথান লায়নের বোলিং ঝড়। শেষ চার উইকেট ( পূজারা, রাহানে, নায়ার এবং অশ্বিন) শিকার করে ভারতকে বেশ চাপে রেখেছিলেন তিনি। দিনের শেষে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ছয় উইকেট হারিয়ে ২৪৮।