নয়া দিল্লি এয়ারপোর্টে ডিফেলিম্পিক্স থেকে ফেরা অ্যাথলিটরা। ছবি: এএনআই টুইটার।
এখনও মিতালি, ঝুলনদের সংবর্ধনার শেষ হয়নি। কয়েকদিন আগেই মন কী বাত অনুষ্ঠানে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে। তার রেশ ধরে একই পথে হেঁটেছেন সচিন তেন্ডুলকরও। ইংল্যান্ড থেকে রানার্স হয়ে ফেরার পর মুম্বই এয়ারপোর্টেও তাঁদের ঘিরে ছিল উৎসব। তার পর দিনই দিল্লিতে ডেকে পুরো দলকে সংবর্ধনা দিয়েছিলেন খোদ ক্রীড়ামন্ত্রী বিজায় গয়াল। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই ভিন্ন রূপ দেখা গেল কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের। যা দেখে স্তম্ভিত ভারতীয় ক্রীড়া জগত।
আরও খবর: ২০৩২ অলিম্পিক্সের ভাবনায় কেন্দ্র সরকার
তুরস্ক থেকে মঙ্গলবারই পদক জিতে দেশে ফিরেছিল ডেফিলিম্পিক্সে অংশ নেওয়া ভারতীয় দল। অ্যাথলিটস ও সাপোর্ট স্টাফ মিলে দলে ছিলেন ৪৬ জন। কিন্তু দিল্লি এয়ারপোর্টে তাঁদের শুভেচ্ছা জানাতে কেউই ছিলেন না। পাঁচটি পদক পেয়েছে ভারতীয় দল। তার মধ্যে একটি সোনাও রয়েছে। কিন্তু এই সাফল্যের পরও তাঁদের সংবর্ধনা জানাতে এয়ারপোর্টে ছিলেন না কোনও ক্রীড়ামন্ত্রকের কেউই। যা দেখে রীতিমতো রেগে যান প্রতিযোগীরা। এয়ারপোর্ট ছেড়ে বেরতে চাননি পদক জয়ীরা। তাঁরা কথা বলতে চান ক্রীড়ামন্ত্রী বিজয় গয়ালের সঙ্গে।
আরও খবর: অলিম্পিক এবং ক্রিকেটের মধ্যে কি তবে বাধা বিসিসিআই?
যা খবর তুরস্ক থেকে ভারতীয় দলের ফেরার খবর আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ক্রীড়ামন্ত্রককে। দলের সঙ্গে যাওয়া প্রজেক্ট অফিসার কেতন শাহ বলেন, ‘‘আমরা অলিম্পিক্স, এমন কী প্যারালিম্পিক্স অ্যাথলিটদের সাফল্য উদ্যাপন করি। তা হলে একইভাবে কেন এই প্লেয়ারদের শুভেচ্ছা জানানো হবে না। ডেফিলিম্পিক্সে এটাই আমাদের সেরা সাফল্য।’’ তিনি আরও জানান, তাঁদের তরফে সাইয়ের ডিরেক্টর জেনারেলের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কারও তরফেই কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। তিনি বলেন, ‘’২৫ জুলাই ই-মেল করে জানানো হয়েছি আমরা ১ অগস্ট ফিরছি। কিন্তু আমরা কোনও উত্তর পাইনি। সকাল থেকে আমরা সবাইকে ফোন করেছি কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। এটা দলের জন্য হতাশার।’’