নিজেকে সামলাও কোহলি
বিরাট কোহলিকে ওর চেনা মেজাজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিজেকে ফিরিয়ে আনতে হবে ওকে। যেহেতু ও টেস্ট দলের ক্যাপ্টেন এবং ওয়ান ডে-তে অন্যের ক্যাপ্টেন্সিতে খেলতে হচ্ছে ওকে, তাই এই ব্যাপারটা ওর পক্ষে হয়তো অসুবিধাজনক হয়ে উঠছে। এখন ওকে ওর নিজের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাতে হবে। তার পর নিশ্চয়ই মানসিক ভাবে নিজেকে ফিরিয়ে আনতে পারবে বিরাট। ভারতীয় দলের সেরা ব্যাটসম্যান ও। ওর ফর্মে ফেরাটা, আমার মনে হয়, সময়ের ব্যাপার।
ধোনির সঙ্গে বসতে হবে
ধোনির সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টের বসা দরকার। এই সিরিজে ওর ক্যাপ্টেনশিপ অপ্রত্যাশিত ভাবে তেমন ভাল হয়নি। দলে এত পরিবর্তন ও সাধারণত করে না। ওর এই অধিনায়কত্ব দেখে মনে হচ্ছে ওর মনের মধ্যে এমন কিছু চলছে, যা ওকে মাঠে সাহায্য করছে না। টিম ম্যানেজমেন্টকে এটাই জানতে হবে যে, ওর মনের মধ্যে ঠিক কী চলছে।
দুই অধিনায়কের অভ্যাস
দুই ফর্ম্যাটে দুই অধিনায়ক— এই ব্যাপারটার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হবে ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের। দুই অধিনায়ক দু’রকম হতেই পারে। দল চালানোর নীতি তাদের আলাদা হতেই পারে। কিন্তু তাদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য দলের ক্রিকেটারদের মানসিক ভাবে তৈরি হতে হবে। ধোনি ও কোহলিরও ক্রিকেটারদের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলে নেওয়া উচিত। কে কার কাছ থেকে কী চাইছে, তাদের পছন্দ-অপছন্দগুলো ওদের জানানো দরকার।
বোলার-পুল চাই
আরও শক্তিশালী ও নির্দিষ্ট বোলিং বিভাগ চাই ভারতীয় দলের। ভারত এমন একটা দেশ, যেখানে প্রচুর ব্যাটসম্যান তৈরি হয়েছে। সেই তুলনায় তেমন ভাল বোলার তৈরি করার ব্যাপারে আমরা বরাবরই পিছিয়ে। নতুন ও প্রতিভাবানদের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে ভারতীয় দলের জন্য একটা নির্দিষ্ট বোলারস পুল তৈরি করা দরকার।
বানাতে হবে নীল নকশা
আগামী বিশ্বকাপের কথা ভেবে এখন থেকেই একটা নির্দিষ্ট নীল নকশা তৈরি করা দরকার বোধহয়। ২০১৫-র বিশ্বকাপের জন্য যেমন তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই। কোচ, টিডি সব কিছুরই পাকাপাকি নিয়োগ দরকার। তা না হলে সামনের রাস্তাটা বেশ কঠিন হয়ে উঠতে পারে।