আই লিগের ডার্বির আগে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠে উত্তরবঙ্গ উৎসবে মঞ্চ বেঁধে অনুষ্ঠান হওয়া নিয়ে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিবকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্মকর্তাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। কলকাতা থেকে ফিরে বৃহস্পতিবার ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে সে কথা জানান সচিব অরূপরতন ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, মাঠের পরিস্থিতি কী, গর্ত হয়েছে কি না, ঘাস ঠিক রয়েছে কি না সে সবই খুঁটিয়ে জানতে চান লাল হলুদের কর্তারা।
তাই আশঙ্কা ছিল মাঠ ঠিক না-থাকলে ম্যাচ বাতিল হতে পারে। তবে মাঠে কোনও গর্ত হয়নি, যে সময় রয়েছে, তার মধ্যে ঘাস ঠিক করে নেওয়া হবে বলে বুঝিয়ে আশ্বস্ত করেন তিনি। সেই মতো ডার্বির প্রস্তুতি নিয়ে দুই তিন দিনের মধ্যেই ইস্টবেঙ্গলের কর্মকর্তারা মাঠ-সহ অন্য আয়োজন দেখতে শিলিগুড়িতে আসছেন। অরূপবাবু বলেন, ‘‘মাঠে মঞ্চ করে অনুষ্ঠান হয়েছে শুনে উদ্বেগে ছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মকর্তারা। তাঁরা মাঠের পরিস্থিতি জানতে চেয়েছিলেন। ম্যাচের আগেই মাঠের ঘাস-সহ বাকি আয়োজন ঠিক হয়ে যাবে বলে তাঁদের আশ্বস্ত করেছি।’’
মাঠের পরিচর্যার কাজ জোর কদম শুরু হয়েছে ২৭ জানুয়ারির পর থেকেই। ডার্বির টিকিটের দাম ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে প্রাথমিক ভাবে যা জানানো হয়েছে, তা এ দিন বৈঠকে তুলে ধরেন সচিব। সেই মতো চেয়ার দেওয়া গ্যালারি তথা ভিভিআইপি ব্লকের টিকিট ৫০০ টাকা, তার দুই পাশের গ্যালারি টিকিট ৪০০ টাকা করে করার কথা। সাত থেকে ১০ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে যে গ্যালারি পড়বে তা ৩০০ এবং গোলপোস্টের পিছনের গ্যালারি টিকিট ২০০ টাকা করে দাম রাখার কথা।
এ দিন মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের নিয়ে ডার্বি এবং পরে আরও একটি ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে প্রাথমিক বৈঠক করেন অরূপবাবু। ১২ ফেব্রুয়ারি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের ডার্বির পর ১৫ ফেব্রুয়ারি লাজং-এর সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের খেলা হবে এই মাঠেই। ডার্বির জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দু’টি দলেরই শহরে পৌঁছনোর কথা। সেবক রোডের দুই মাইলের একটি হোটেলে থাকবে লাল হলুদের ফুটবলাররা। সেবক মোড় লাগোয়া একটি হোটেলে ওঠার কথা মোহনবাগানের। এ দিন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও ম্যাচের দিন মাঠের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের বৈঠক হয়েছে। পুলিশের তরফে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস মিলেছে বলে ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা জানান।